শিরোনাম
শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কাঁচা মরিচের দামে ট্রিপল সেঞ্চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ঈদের আগে ২৫০-২৭০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হলেও এখন তা ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছে। ফলে ঈদের পর বাজারে এসে কাঁচা মরিচের ঝাঁজে রীতিমতো ঘামছেন ক্রেতারা। গতকাল রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, মধ্যবাড্ডা, উত্তর বাড্ডাসহ বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় হু হু করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। ঈদের ছুটির কারণে গাড়ি ঢাকায় আসছে না। ফলে এর চাপ পড়েছে কাঁচা মরিচের বাজারে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ- সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কাঁচা মরিচের বাজার অস্থিতিশীল করতে চাইছে একটি পক্ষ। বাজারে কাঁচা মরিচের কোনো সংকট নেই। সব বিক্রেতার কাছেই পর্যাপ্ত কাঁচা মরিচ রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। কোথাও কোথাও আরও বেশি। রামপুরা বাজারের বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, ঈদের আগে ২৫০-২৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ৩০০ টাকার নিচে বেচব কীভাবে? সিন্ডিকেট করলে আড়তদাররা করেন। আমরা তো করি না। আমরা কারওয়ান বাজার থেকে কিনি। অল্প লাভে বিক্রি করি। অথচ ক্রেতারা এসে বাড়তি দাম নিয়ে ঝামেলা করেন আমাদের সঙ্গে।

একই কথা জানান মালিবাগের বিক্রেতা আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ক্রেতারা ২০ টাকার মরিচ চান। এখন ২০ টাকায় তো ৫০ গ্রামও দেওয়া যাচ্ছে না। ঈদের মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে মরিচ ঢাকায় না আসায় দামটা একটু বেশি বেড়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে কিছুটা কমে যাবে।

বাড্ডা কাঁচা বাজারের বিক্রেতা রশিদ মিয়া বলেন, ঈদের ছুটির কারণে ঢাকায় মরিচের গাড়ি ঢোকেনি। ফলে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী মরিচ নেই। সেই সুযোগে দাম বাড়িয়েছে অনেকে। চাহিদার চেয়ে কম মাল থাকলে তার দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। গাড়ি আসতে শুরু করলে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে। উত্তর বাড্ডা বাজারে আসা ক্রেতা রাশেদ বলেন, ঈদের দুই দিন আগেও  আড়াই শ টাকায় ১ কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছি। ৩০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আজ না কিনেই বাসায় ফিরতে হবে। স্থানীয় সিন্ডিকেটের কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর