শিরোনাম
রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফের বিস্ফোরণের শব্দ টেকনাফে

সেন্টমার্টিনে স্বস্তি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তে ফের পাওয়া যাচ্ছে ভয়ংকর বিস্ফোরণের শব্দ। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার নাফ নদের এপারের শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ সদর, সাবরাং, সেন্টমার্টিন ও আশপাশের এলাকায় ভারী অস্ত্র ও গোলার বিস্ফোরণের একের পর এক শব্দ ভেসে আসছে। সীমান্তে আতঙ্কিত মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমার থেকে অন্তত ৫-৬ বার গুলি ছোড়া হয়েছে সেন্টমার্টিনগামী নৌযানে। এ ছাড়া সীমান্তের নিকটবর্তী নাফ নদে ভিড়ে ছিল মিয়ানমারের কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ।  সীমান্তে বসবাসরত স্থানীয়দের ধারণা, মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ ওপারে আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে। ঈদুল আজহার আগে ও পরে দুই দিন বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা না গেলেও গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল পর্যন্ত থেমে থেমে আবারও মর্টার শেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাঁপছে নাফ সীমান্ত টেকনাফ।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে আছে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। উভয় পক্ষের গোলাগুলি ও ভারী গোলার বিস্ফোরণে মংডু, বুচিডং-রাচিডং টাউনশিপ লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। তাতে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিথুয়ের সঙ্গে এই তিন শহরের সরাসরি সড়ক ও নৌপথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।  টেকনাফ খানকার ডেইল এলাকার বাসিন্দা হাফেজ আহমেদ বলেন, এটা কি বিস্ফোরণ নাকি অন্যকিছু। আমার বাচ্চা ছেলেটা ঘুম থেকে চমকে উঠল। এমন বিকট শব্দ আগে কখনো শুনিনি। সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল ফয়েজ বলেন, ভয়ংকর শব্দ! এতদিন যত বিকট শব্দ ভেসে আসছে তার চেয়ে কয়েক গুণ ভারী শব্দ মনে হচ্ছে গতকাল থেকে। এ শব্দে ঘরবাড়ি পর্যন্ত নাড়া দিয়ে ওঠে। আর স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক তো দিনের পর দিন বাড়ছেই। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল ৮টার পর থেকে বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারের ওপার থেকে। রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। এদিকে গত রবিবার মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে টেকনাফের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এ সময় তিনি বিজিবি সদস্যদের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ খবর