সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

শুদ্ধাচারে হুঁশিয়ারি র‌্যাব ডিজির

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুদ্ধাচারে হুঁশিয়ারি র‌্যাব ডিজির

তিনটি বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা এবং শুদ্ধাচারনীতি বাস্তবায়নে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। তিনি বলেছেন, র‌্যাবের প্রতি মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস সেটা আমরা আরও বৃদ্ধি করতে চাই। পাঁচটি বিষয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারির সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের প্রতিটি সদস্যকে সব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রাখা, চেইন অব কমান্ড অনুসরণ এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ থেকে বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো র‌্যাব সদস্য যদি আইনবহির্ভূত কাজ করেন বা অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো কাজ করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল রাজধানীর কুর্মিটোলা র‌্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। র‌্যাব ডিজি বলেন, আজকে সিও (অধিনায়ক) কনফারেন্স ছিল। আমি তাদের পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। মানুষকে সেবা দেওয়া, অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গি সন্ত্রাস দমন, মাদক উদ্ধারসহ আভিযানিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার নির্দেশনা দিয়েছি। এ জন্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে র‌্যাবকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে কর্মপরিধি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, তিনটি কাজকে গুরুত্ব দেব। এর মধ্যে মাদক, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন এবং কিশোর গ্যাং কালচার নির্মূল। সাসটেইনেবল সমাজ প্রতিষ্ঠায় গ্যাং কালচারে জড়ানো কিশোরদের সংশোধন করে মূলধারায় কীভাবে আনা যায় সে চেষ্টা করবে র‌্যাব।

 যারা অপরাধ করে ও সহায়তা করে তারা দুইপক্ষই সমান অপরাধী। মাদক নির্মূলে দরকার সামাজিক আন্দোলন। আশা করব গণমাধ্যম পাশে থাকবে। আমি গণমাধ্যমের অংশীদারি চাই। গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। মানবাধিকার প্রসঙ্গে র‌্যাব ডিজি বলেন, আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে চাই। র‌্যাবের কোনো সদস্য অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজে জড়াবে না। কোনো সদস্য যদি কারও মানবাধিকার হরণ করতে চায় তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা ও আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে র‌্যাব মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে র‌্যাবের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

অপরাধ দমনে র‌্যাবের সফলতার চিত্র তুলে ধরে র‌্যাব প্রধান বলেন, অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাব জঙ্গি ও মাদকবিরোধী কার্যক্রম, অস্ত্র উদ্ধার, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, অপরাধী ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে সাফল্য অর্জন করেছে। র‌্যাব মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করে আসছে। প্রতিষ্ঠা থেকে র‌্যাব অদ্যাবধি প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি মাদক কারবারিকে গ্রেফতার, প্রায় ৬ হাজার ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার অধিক মূল্যমানের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

সর্বশেষ খবর