মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

শেষ কর্মদিবসে অবরুদ্ধ বুয়েট উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

স্বার্থবিরোধী অফিস আদেশ প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারকে তাঁর শেষ কর্মদিবসে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বিকাল থেকে উপচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন তিন শতাধিক কর্মচারী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণাও দেন তারা। জানা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি-সংক্রান্ত গত বছরের ২৭ ডিসেম্বরের একটি সিদ্ধান্ত গতকাল অফিস আদেশ হিসেবে দেখানো হলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা ফুঁসে ওঠেন। বিকাল চারটা থেকে তা বাতিলের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। উপাচার্যের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় এদিনই এই আদেশ বাতিল চান তারা। অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স কমিটির ৫৫তম অধিবেশনের কার্যবিবরণীর প্রস্তাব নম্বর ফ ২০৩০৭০৫-এর সিদ্ধান্ত নিম্নরূপে পরিবর্তন করে ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪০তম সভায় নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় : (ক) ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রাপ্যতার জন্য বিবেচিত হবেন না। (খ) নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে যাদেরকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে যাদেরকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে, তাদের চাকরি শেষ হলে/পদত্যাগ করলে/অপসারণ/পদচ্যুত করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অর্গানোগ্রাম বহির্ভূত পদ বিলুপ্ত হবে এবং অর্গানোগ্রামভুক্ত মূল পদ শূন্য হবে। (গ) ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদানে সরকারি নীতিমালা এবং ইউজিসি অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম প্রযোজ্য হবে। কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি সরকারি নীতিমালায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে উচ্চতর গ্রেড অথবা পদ প্রাপ্ত হন তাহলে তা প্রদান করা হবে। (ঘ) ওপরের সকল সিদ্ধান্ত উল্লেখপূর্বক অনুমোদনের জন্য ইউজিসিতে প্রেরণ করা হবে। আন্দোলনরত কর্মচারীরা বলেন, আমরা যাতে কিছু করতে না পারি তাই এত দিন নীতিমালা বাতিলের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ লুকিয়ে রেখেছিল। আমরা নীতিমালা বহাল চাই। এই দাবিতে উপচার্যকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি যেন আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করেন সেই দাবি জানাই।

সর্বশেষ খবর