ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, আমলারা এ দেশে অনেক বেশি ক্ষমতার অপচর্চা করেন। ক্ষমতা আর দুর্নীতি অনেকটা অঙ্গাঙ্গিভাবে থাকে। নিরঙ্কুশ ক্ষমতা হলে নিরঙ্কুশ দুর্নীতিও হয়। ক্ষমতার চর্চা যেখানে বেশি হয় সেখানে দুর্নীতিতে জড়ানোর সম্ভাবনাও বেশি থাকে। দুর্নীতিবাজদের শক্তভাবে দমন করে শাস্তির আওতায় না আনলে দেশ ও সমাজের জন্য শুভকর হবে না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ শিক্ষাবিদ বলেন, আমলারা দেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন দেখে মনে হয়, দেশের নীতি বাস্তবায়ন করতে তাদের যতটুকু দায়িত্ব চাকরির আওতায় দেওয়া হয়েছে তার চেয়েও অনেক বেশি পাওয়ার তারা এক্সারসাইজ করেন। দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেন দেশ এখন রাজনীতিবিদরা পরিচালনা করছেন না, দেশ পরিচালনা করছেন দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী আর আমলারা। এদের একের পর এক সম্পদের পাহাড় সামনে আসছে। এখানে যেমন রয়েছে সিভিল ব্যুরোক্রেটস, রয়েছেন অন্যরাও। এসব দেখে সাধারণ মানুষও নিরাপদ বোধ করছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, আমলারা সংবিধানের ভাষায় প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা নয়, কর্মচারী। তারা কর্মচারী- এই ধারণাটি ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদের। আমলাদের টাকা পাচার, অর্থ লোপাটসহ নানান অনৈতিক কর্মকান্ডে মানুষের অন্তরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এটি দূর করার জন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে, ন্যায়-নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠিত করতে যথেষ্ট সাহসী ও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। সব দুর্নীতির শাস্তি দিতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন, যারা টাকা পাচার করেছে, যারা ব্যাংক লুট করেছে, যারা ক্ষমতা দেখিয়ে মানুষের ওপর অন্যায় অত্যাচার করেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের জবাবদিহিতা রয়েছে। এই জবাবদিহিতার নামে দীর্ঘসূত্রতা হলে চলবে না। এটি হতে হবে সুস্পষ্ট ও সময়োপযোগী।