শিরোনাম
শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
দুর্নীতিকাণ্ডে তোলপাড়

বেনজীরের সম্পত্তি দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে থাকা ছয়টি ফ্ল্যাট, পাঁচটি প্লট, দুটি অফিস স্পেস ও বান্দরবানে থাকা ২৫ একর জমির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক (রিসিভার) নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এসব সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক এ আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বেনজীরের ঢাকা ও রূপগঞ্জের সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক এবং বান্দরবানের সম্পত্তির জন্য সেখানকার জেলা প্রশাসককে নিয়োগের জন্য আমরা আদালতকে বলেছি।’ তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দেওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে-রূপগঞ্জ আনন্দ হাউজিং সোসাইটির ৬ কাঠার চারটি প্লট, যার মোট জমির পরিমাণ ২৪ কাঠা এবং এর ওপর সাভানা ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লিমিডেটের নামে রেজিস্ট্রি করা স্থাপনা। জীশান মীর্জার মালিকানাধীন গুলশানের ৩ কাঠা জমির প্লট ও এর ওপর থাকা স্থাপনা। বাড্ডায় রূপায়ণ মিলেনিয়াম স্কয়ারে অষ্টম তলায় দুটি অফিস স্পেস, দুটি কার পার্কিংসহ ৩৯.০৩ শতাংশ জমি, যা সাউদার্ন বিজনেস ইনিশিয়েটিভের পক্ষে ম্যানেজিং পার্টনার জীশান মীর্জার নামে রেজিস্ট্রি করা। বান্দরবানে ২৫ একর জমি ও এর উপরিস্থিত স্থাপনা এবং আদাবরের পিসি কালসার হাউজিংয়ে ছয়টি ফ্ল্যাট। এর আগে ৬ জুন বেনজীর আহমেদের আরও সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক (রিসিভার) নিয়োগের আদেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমি খুঁজে পেয়েছে দুদক। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজীরের। এ জমিগুলো তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং আত্মীয় আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।

এ ছাড়া বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিলমূল্য দেখানো হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত; যার দলিলমূল্য দেখানো হয়েছিল প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রথম দফায় বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকার গুলশানের র?্যাংকন আইকন টাওয়ারে থাকা চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। দ্বিতীয় দফায় ঢাকার আদাবরে থাকা ছয়টি ফ্ল্যাট ও বাড্ডার রূপায়ণ লিমিটেড স্কয়ার ভবনে থাকা দুটি অফিস স্পেস জব্দের আদেশ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর