শিরোনাম
শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল

ইউনাইটেড হাসপাতালের আচরণ গর্হিত : ড্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর পর তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

তাঁর শরীর ও স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে গতকাল তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওনার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি কিংবা অবনতি হয়নি। আগের মতোই আছেন তিনি।’ মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ সুবিধা সংবলিত কেবিনে বর্তমানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। এর আগে ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক এ কিউ এম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন। মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় লন্ডন থেকে ডা. জোবাইদা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

ড্যাবের দাবি, গর্হিত আচরণ করেছে ইউনাইটেড হাসপাতাল : চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের ‘প্রতিহিংসা ও অমানবিক’ আচরণের তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ড্যাব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। ড্যাব নেতারা বলেন, খালেদা জিয়া গত ২১ জুন গভীর রাতে গুরুতর অসুস্থ হলে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ করতে অপারগতা প্রকাশ করে, যা মারাত্মক বিবেকবর্জিত ও অমানবিক কাজ। মানুষের জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ না করে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে গর্হিত কাজ করেছে তা এ দেশের জনগণ মনে রাখবে এবং যথাসময়ে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর