শিরোনাম
শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

আমেরিকাকে এখন উপদেশ দেওয়ার সময় এসেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমেরিকাকে এখন উপদেশ দেওয়ার সময় এসেছে

এ কে এ মোমেন

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমাদের এখন উপদেশ নেওয়ার সময় নয়, দেওয়ার সময়। ভবিষ্যতে আমেরিকার বৈদেশিক নীতি কী হওয়া উচিত, সে বিষয়ে বাংলাদেশের পরামর্শ দেওয়ার সময় এসেছে। আমেরিকা যদি তাদের বৈদেশিক নীতি পরিবর্তন করে এবং দুনিয়ার মানুষের কথা চিন্তা করে তাহলে তারা বিশ্বের  নেতা হবে। আর যদি তাদের নিচু মনমানসিকতা প্রকাশ পেতে থাকে, তাহলে তারা বিশ্বের মধ্যে কুলাঙ্গার হবে।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ‘মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ’ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম’ (ইআরডিএফবি)। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান প্রমুখ। ড. এ কে মোমেন বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের ফ্রি থিংকিংয়ের পরিধি সীমিত হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আমাকে দাওয়াত দেয়, জিও পলিটিক্সের বিষয়ে আলোচনা করতে। তারপর তারা আমাকে শর্তও দিয়ে দেয় যে, আপনি গাজা এবং ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোনো কথা বলবেন না। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয় এখন কতটা ‘ন্যারো মাইন্ডেড’ হয়ে গেছে এর মাধ্যমে বোঝা যায়।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সুসম্পর্কের কারণে আমাদের দেশ থেকে কয়েক লাখ লোক ভারতে সহজেই যেতে পারছে চিকিৎসা ও বাজার করার জন্য। এই সুসম্পর্কের জন্যই আমরা সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পেরেছি, পানি বণ্টনের ভাগাভাগি করতে পেরেছি, আমাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে পেরেছি।

সর্বশেষ খবর