শিরোনাম
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

আরও স্থাপনা উচ্ছেদ সাদিক অ্যাগ্রোর

নিজস্ব প্রতিবেদক

আরও স্থাপনা উচ্ছেদ সাদিক অ্যাগ্রোর

মোহাম্মদপুরে গতকালও খালের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ছাগলকান্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে খালের জমি দখল করে নির্মিত আরও একটি খামারের সন্ধান মিলেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকার ১৬ নম্বর সড়কে খামারটি গড়ে তোলা হয়েছে রামচন্দ্রপুর খালের প্লাবনভূমি দখল করে। যদিও সাদিক অ্যাগ্রোর নামে ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোনো সংস্থার অনুমতি নেই। এদিকে ঢাকা উত্তর  সিটি করপোরেশনের নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ রোডের সাদিক অ্যাগ্রোসহ ১০টি ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। খালের প্লাবনভূমির ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না মর্মে উচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে। সে আদেশের প্রতিপালন করতে টানা তিন দিন উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে সাদিক অ্যাগ্রোর দুটি প্রতিষ্ঠানও উচ্ছেদ করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানই মোহাম্মদপুরে। একটি খামার গড়ে তোলা হয়েছিল রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে, অন্যটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায়। জানা গেছে, সাদিক অ্যাগ্রোর খামারটি ছিল একেবারে রামচন্দ্রপুর খালের পাড় ঘেঁষে। অথচ খালের প্লাবনভূমির (ফোরশোর) ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করতে উচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে। এ ছাড়া স্থাপনা (খামার) নির্মাণে সাদিক অ্যাগ্রোর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতিও ছিল না। খামারের জন্য সিটি করপোরেশন থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো ট্রেড লাইসেন্স। এ ছাড়া সরকারি সংস্থা বারবার সীমানা নির্ধারণ করলেও প্রতিষ্ঠান বা ভবন মালিক তাতে তোয়াক্কা না করে খামার বানিয়েছেন। নানা মহলে ‘শক্তিশালী যোগাযোগ’ থাকায় সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে এতদিন আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, এ জায়গা সাদিক অ্যাগ্রোর না। জমির মালিক জনৈক আবদুর রহমান। তার কাছ থেকে সাদিক অ্যাগ্রো ভাড়া নিয়েছে। তবে খামারের সামনের অংশটা খালের মধ্যে পড়ছে। এখানে সীমানা পিলার আছে। সীমানা মাপলেই দেখা যাবে খামারের অন্তত ২০ থেকে ২৫ ফুট জায়গা খালের প্লাবনভূমিতে পড়েছে। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গত তিন দিন টানা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে সাদিক অ্যাগ্রোর খামারসহ ১০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাতাকাব্বীর আহমেদ। গতকাল দুপুর ১২টায় মোহাম্মদপুর সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। তিন দিনের অভিযানে প্রায় ৭০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ২০ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া রামচন্দ্রপুর খালের ১০ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে খননকাজ চালানো হয়।

সর্বশেষ খবর