শিরোনাম
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিতর্কের পর বাইডেন শিবিরে হতাশা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

বিতর্কের পর বাইডেন শিবিরে হতাশা

রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘অনুজ্জ্বল’ হয়ে যাওয়ায় তাঁর অনুরাগীরা তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকমন্ডলী ছাড়াও অনেক চাঁদাদাতা ও কট্টর সমর্থকও বলছেন, বাইডেনের উচিত এখন স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানো। নিশ্চিত একটি পরাজয় ঠেকাতেই ডেমোক্র্যাটদের এমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য দুই প্রার্থী বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে প্রথম টিভি-বিতর্কে বাইডেন নিজেকে নাজুক অবস্থায় নিপতিত করেছেন। ট্রাম্পের মিথ্যাচারের জবাব প্রদানে বাইডেনের কষ্টকর চেষ্টা দেখে সমর্থকরা বেশ উদ্বিগ্ন। ২৭ জুন রাতে ‘সিএনএন’ আয়োজিত বিতর্কে বাইডেনকে ক্ষণে ক্ষণেই বিচলিত বোধ করতে দেখা গেছে। কখনো কখনো যা বলতে চেয়েছেন তার স্বাভাবিক প্রকাশ ঘটাতেও সক্ষম হননি প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আর এভাবে বাইডেনের বয়সজনিত যে শঙ্কার কথা বলা হচ্ছিল, তা দৃশ্যমান হয়। ৮১ বছর বয়সি বাইডেনকে পুনরায় বিজয়ী করতে যারা ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন, নির্বাচনি তহবিলে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ দিয়েছেন, বাইডেনকে বিজয়ী করতে সংবাদ, মতামত এবং সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছেন এমন ব্যক্তি ও গণমাধ্যমও এখন নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। তাঁরা বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং সামগ্রিক কল্যাণের স্বার্থে সরে দাঁড়াতে প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা মনে করছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনকে জিতিয়ে আনা সম্ভব হবে না। আর এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে যুক্তরাষ্ট্র আবারও ভয়ংকর একটি সংকটে নিপতিত হবে, গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব অটুট রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। বাইডেনের নির্বাচনি তহবিলে মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদানকারী বেটি কট্টন বিতর্কের পর গণমাধ্যমে বলেছেন, গত রাতের বিতর্কটি ছিল ডেমোক্র্যাটদের জন্য খুবই লজ্জার বিষয়, বাইডেনের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ ছিল, সেজন্যই এখন বিকল্প ভাবতে হচ্ছে। বেটি কট্টন বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধসংবলিত অসংখ্য বার্তা পেয়েছেন কর্মী-সমর্থক এবং চাঁদা প্রদানকারীদের থেকে। প্রায় সবাই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাইডেনের ব্যাপারে। তাঁকে সরিয়ে না দিলে ডেমোক্র্যাটদের পরাজয় কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না-এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে। উল্লেখ্য, বেটি কট্টন একই সঙ্গে বাইডেনের নির্বাচনি তহবিল সংরক্ষণ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে রয়েছেন। বেটি কট্টন মনে করেন, বাইডেনের উচিত প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা। তা হলেই আমাদের (ডেমোক্র্যাট) নির্বাচনে ধরাশায়ী হতে হবে না। বেটি কট্টন জানান, বাইডেন সরে না দাঁড়ালে চাঁদাদাতারাও নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি শিকাগোয় আগস্টে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনের আগেই বাইডেনের সরে পড়া দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন চাঁদা প্রদানকারী সমর্থকরা। 

সর্বশেষ খবর