সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলছে অভিযান

সেই এনবিআর সচিব বদলি, চাকরিচ্যুত এএসপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আয়কর বিভাগের (ট্যাক্স লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) প্রথম সচিব ও অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে সরানো হয়েছে। তাকে বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১ এ বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এনবিআরের প্রথম সচিবের (কর) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে। তিনি ফয়সালের স্থলাভিষিক্ত হলেন। গতকাল এনবিআরের কর প্রশাসন বিভাগের প্রথম সচিব মো. শাহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৭ জুন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত ফয়সালের সব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দেন। কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। সংস্থাটি প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে ফয়সাল ও তার আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদের বিবরণী আদালতের কাছে তুলে ধরে। 

জানা গেছে, বিসিএস (কর) ক্যাডারে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে ২০০৫ সালে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল এনবিআরে যোগ দেন। আদালত সূত্র জানায়, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রের ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তা ছাড়া ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতির জন্য চাকরি হারালেন সহকারী পুলিশ সুপার : দুর্নীতি ও অসদাচরণের দায়ে একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ইয়াকুব হোসেন নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ইয়াকুব হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতি তাকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইয়াকুব হোসেন ২০১৯ সালে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে একটি টিম গঠন করেন। এসআই জীবন বিশ্বাস, কনস্টেবল আল আমিন, কনস্টেবল মো. আবদুস সবুর, গাড়িচালক কনস্টেবল সামিউল ও কনস্টেবল অনিক এই টিমের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি এসআই জীবন বিশ্বাস ও অন্য পুলিশ সদস্যরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মিরপুর পৌর এলাকার মোশারফপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লিপি কমিশনারের বাড়িতে আকস্মিকভাবে যান। সেখানে মায়া নামের এক নারীর সঙ্গে মো. আশরাফ হোসেন ও মো. শামীম রেজা অবস্থান করছিলেন। তখন পুলিশ সদস্যরা তাদের অবৈধ কাজ করার অভিযোগে হাতকড়া পরিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং তাদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছবি তোলেন। পরে মিরপুর বাজারের এমএসএফ (মুঠোফোনে অর্থ লেনদেন) ব্যবসায়ী সোহেল রানার মাধ্যমে ওই দুজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর