দেশের বিভিন্ন আদালতে ৪১ লাখ ৯ হাজার ৭৫৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগ খাতে বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের দেওয়া বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আনিসুল হক বলেন, সংসদ সদস্য যারা ছাঁটাই প্রস্তাব করেছেন, তারা অত্যন্ত যুক্তিসংগত কথা বলেছেন, মামলা জটের কথা বলেছেন, মামলা জটের কথা অস্বীকার করার কিছু নেই। আজকের হিসাব হচ্ছে ৪১ লাখ ৯ হাজার ৭৫৫টি মামলা আদালতে আছে। যতগুলো মামলা আছে তা নিষ্পত্তি করার জন্য বিচার বিভাগে যে বিচারক আছে তা অপ্রতুল। ২০০৯ সালে জুডিশিয়ারির সক্ষমতা ছিল ৮০০ বিচারক। আজকে সেই জুডিশিয়ারির সক্ষমতা হচ্ছে প্রায় ২ হাজার বিচারক। আমরা আরও আদালত বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। ১৫৮টি আদালত খুব শিগগিরই বেড়ে যাবে। মামলা জট নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প নিয়ে ৬৪ জেলায় এ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেসি ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেসি আদালত স্থাপনের পরিকল্পনা নেন। তার মধ্যে ৪১টি হয়ে গেছে, ২৩টি হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই হয়ে যাবে।
এর আগে সংসদ সদস্য মো. হামিদুল হক খন্দকার (কুড়িগ্রাম-২), পঙ্কজ নাথ (বরিশাল-৪), মো. আবুল কালাম (নাটোর-১), হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (ঠাকুরগাঁও-৩) ও মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (ঝিনাইদহ-২) আইন ও বিচার খাতে মঞ্জুরি দাবিতে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তারা বলেন, আইন বড়লোকের জন্য। আইনকে শাসন করে অর্থ বিত্তশালীরা, আইন প্রয়োগ হয় সাধারণ গরিব মানুষের ওপর। বিচারের জন্য এই দরজা, ওই দরজায় ঘুরতে ঘুরতে মানুষের জীবন শেষ। বিচারকের অভাব রয়েছে। চার্জশিট দিতে বছরের পর বছর পার হচ্ছে। চার্জশিট গ্রহণ করা হলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। লাখ লাখ মানুষ আদালতে ঘুরছেন। মামলাজট বাড়ছে। বিচারপ্রার্থীদের কষ্ট লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
