মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাদিক অ্যাগ্রোকাণ্ডে সাভারে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাদিক অ্যাগ্রোকে প্রতারণায় সহায়তার অভিযোগে ঢাকার সাভার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে সাদিক অ্যাগ্রোর সাভারের ফার্মে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরুর সন্ধান পায় দুদক। এ সময় সেখানে দেখা যায়, কাপড় দিয়ে আচ্ছাদিত একটি ঘরের ভিতরে আলোচিত ছাগলকাণ্ডের ১৫ লাখ টাকা দামের সেই ছাগলকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরসহ প্রায় আড়াই শ গরু রয়েছে। একই সঙ্গে ১২টি উট ও দুটি ঘোড়াসহ কয়েক শ হাস-মুরগি ফার্মে দেখা যায়। দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালে বিদেশ থেকে আসা নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরু কাস্টমস থেকে জব্দ করা হয়। সেগুলোকে পরে লালন-পালনের জন্য সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত রোজার ঈদে গরুগুলোর মাংস বিক্রির জন্য কমিটি করা হয় এবং মাংস বিক্রি করা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে তাই ওই গরুর খোঁজে আমরা সাদিক অ্যাগ্রোতে এসেছি। পরে এখানে এসে একটি শেডে ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরের সন্ধান মিলেছে। এরপর একটি ঘরে কাপড়ে আচ্ছাদনের ভিতরে ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগলটি দেখা গেছে। সাদিক অ্যাগ্রোতে কিছু নথি পাওয়া গেছে, যা আমরা জব্দ করেছি। ব্রাহমা প্রজাতির গরু আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ। তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে আমেরিকান ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমানে করে ১৭টি ব্রাহমা গরু দেশে আনে সাদিক অ্যাগ্রো। গরু আমদানির বৈধ কাগজ দিতে পারেননি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন। এ সময় সাদিক অ্যাগ্রো তিনটি জাল নথি জমা দিয়েছিল। জাল নথি দিয়ে গরু আনার ঘটনায় তখন মামলা হয়। আদালতের রায় আসে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষে। ফলে ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে।

সর্বশেষ খবর