মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিতর্কের মধ্যেই ভারতে নতুন তিন আইন

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

বিতর্কের মধ্যেই ভারতে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জন্য সোমবার চালু হয়েছে তিনটি নতুন আইন : ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। নতুন আইনের আওতায় প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। সেটি একটি মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ। রবিবার দিবাগত রাত ১২ টা ১০ মিনিটে এই অভিযোগপত্রটি পুলিশের খাতায় ওঠে। এরই মধ্য দিয়ে ভারতের আইন ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরিভাবে মুছে গেল ব্রিটিশ আমলে তৈরি আইন। পরে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘১৮৬০ সালে তৈরি হয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোড’ বা ভারতীয় দণ্ডবিধি, তার জায়গায় এসেছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’। ১৯৭৩ সালে তৈরি হয়েছিল ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড বা ফৌজদারি দণ্ডবিধি, তার জায়গায় এসেছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ বা ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের বদলে এসেছে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধীনিয়ম’ (ইঝঅ)।

শাহ বলেন, স্বাধীনতার প্রায় ৭৭ বছর পরে, আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে স্বদেশী হয়ে উঠছে। এই আইন সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় নীতির ভিত্তিতে কাজ করবে। ৭৫ বছর পরে, এই আইনগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল এবং আজ যখন এই আইনগুলি কার্যকর করা হচ্ছে, তখন ঔপনিবেশিক আইনগুলি বাতিল করা হয়েছে এবং ভারতীয় সংসদে প্রণীত আইনগুলি বাস্তবে কার্যকর হচ্ছে।

নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে এটি বিচার ব্যবস্থার ভারতীয়করণ। যে সমস্ত সংস্থা বা সংগঠন নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন আইন অনেক উপকৃত হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিমত এবার থেকে দন্ড-এর পরিবর্তে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে। বিলম্বতার বদলে এখন দ্রুততার সঙ্গে শুনানি ও বিচার হবে। আগে, শুধুমাত্র পুলিশের অধিকার সুরক্ষিত ছিল, কিন্তু এখন থেকে ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারীদের অধিকারও সুরক্ষিত করা হবে। সংসদে পর্যাপ্ত আলোচনা ছাড়াই এই নতুন আইন পাস করা নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলেছে তা প্রত্যাখ্যান করে অমিত শাহ বলেন দেশের ইতিহাসে অন্য কোনও আইন নিয়ে সংসদে এত বিশদ আলোচনা হয়নি।

সর্বশেষ খবর