বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকটের সমাধান কীভাবে

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেই সমাধান সম্ভব

--- ড. এ কে আজাদ চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেই সমাধান সম্ভব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, পেনশন স্কিমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ মহৎ উদ্যোগকে কী কারণে, কারা, কী যুক্তিতে জটিল করলেন? এ স্কিমের মাধ্যমে শিক্ষকদের বৈষম্যের মধ্যে ফেলে দিয়ে কারা আন্দোলনে উসকে দিলেন? শিক্ষকদের কেন আজ এত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হচ্ছে? শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি মনোবেদনার কারণ, পীড়ার কারণ। এ অচলাবস্থার নিরসন হওয়া জরুরি। শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকেই এ সমাধান হওয়া সম্ভব। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ শিক্ষাবিদ আরও বলেন, আমলাদের হাতে ছেড়ে দিলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হলেই এ সমস্যার সমাধান হবে। প্রধানমন্ত্রীর মহৎ উদ্যোগকে বিতর্কিত করে কারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করলেন তাদের খুঁজে বের করা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে, শিক্ষকদের অবসরের সময় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি অনুধাবন করেছিলেন। কারণ শিক্ষকদের বয়স বাড়লে অভিজ্ঞতা, বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা বাড়ে। তখন অনেকের বিরোধিতা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবসরের সময় বৃদ্ধি করে ৬৫ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমি মনে করি তিনি সহজেই এ সমস্যার সমাধান দিতে পারেন। এ শিক্ষাবিদ বলেন, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির স্বার্থে শিক্ষকদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট সিটিজেন দরকার। এই স্মার্ট সিটিজেন আমলারা তৈরি করবেন না, তৈরি করবেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের আঘাত করে স্মার্ট বাংলাদেশ কীভাবে হবে? শিক্ষকদের উপেক্ষা করে দেশ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। এ স্কিম নিয়ে পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে সংশ্লিষ্টরা সমাজের মূল্যবোধে আঘাত করেছেন। কারও সঙ্গে আলোচনা না করে এমন বৈষম্যের পেনশন শিক্ষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া নৈতিকও নয়, আইনগতভাবেও সিদ্ধ নয়। তিনি বলেন, শিক্ষকরা তো ওয়েলপেইড নন। একাডেমিক লাইফে যারা ভালো ফলাফল করেন অর্থাৎ প্রথম সারির না হলে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারেন না। সমাজের একটি শ্রেণি খুব মেধাবী হয়ে পেশাজীবনে নানা ত্যাগ-তিতিক্ষা করবে, যোগ্য সম্মানটুকুও পাবে না- এটি মেনে নেওয়া যায় না। সুশীল সমাজ এসব মানে না, শিক্ষকরাও মানবে না। এ পেনশন স্কিমে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে, তাই আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক।

সর্বশেষ খবর