রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রোয় আবারও অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবারের অভিযানে আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহামা জাতের ছয়টি গরু জব্দ করেছে সংস্থাটি। গতকাল দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালামের নেতৃত্বে একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে। মঙ্গলবার আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহামা জাতের গরুর তালিকাসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জব্দে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস হাউসে অভিযান চালায় ওই টিম। তালিকা সংগ্রহের পরই বেশকিছু নতুন তথ্য উঠে আসে। যে কারণে গতকাল আবারও সাদিক অ্যাগ্রোয় অভিযান পরিচালনা করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানান, আগের অভিযানের ধারাবাহিকতায় গতকাল আবারও এনফোর্সমেন্ট অভিযান হয়েছে। কাস্টমস অফিসে পাওয়া নথি ধরে এ অভিযান চলে। পরে সেখানে ওই তালিকানুসারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সেই ১৮টির মধ্যে ছয়টি গরু পাওয়া গেছে। এগুলো জব্দ করে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গত ১ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালামের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের পৃথক তিনটি টিম সাদিক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে সাভার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার এবং সাদিক অ্যাগ্রোর সাভার, মোহাম্মদপুর ও নরসিংদী ফার্মে দিনভর অভিযান চালায়। অভিযানে ৪৮৮ গরু জবাই, মাংস বিতরণ ও ৬০০ টাকা কেজি হিসাবে আদায় করা টাকা সরকারি তহবিলে জমা সংক্রান্ত বেশকিছু অসংগতি কিংবা অনিয়ম পায় দুদক। ওইদিন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২১ সালে বিদেশ পথকে আসা নিষিদ্ধ ব্রাহামা প্রজাতির গরু কাস্টমস থেকে জব্দ করা হয়। সেগুলোকে পরে লালন-পালনের জন্য সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত রোজার ঈদে গরুগুলোর মাংস বিক্রির জন্য কমিটি করা হয় এবং মাংস বিক্রি করা হয়। অভিযানে সাভারে এসে একটি শেডে ৫টি ব্রাহামা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরের সন্ধান মেলে। এরপর একটি ঘরে ১৫ লাখ টাকা দামের আলোচিত সেই ছাগলটিও পাওয়া যায়। অভিযানে বেশকিছু তথ্য ও নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযানের প্রাপ্ত বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই প্রতিবেদন আকারে কমিশনে দাখিল করা হবে।