শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
ওমানের রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী

শ্রমশক্তি দ্বারা দুই দেশই উপকৃত

প্রতিদিন ডেস্ক

শ্রমশক্তি দ্বারা দুই দেশই উপকৃত

প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা ক্রেস্ট উপহার ওমানের রাষ্ট্রদূতের -পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, তারা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের পাশাপাশি আপনার (ওমানের) অর্থনীতিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অবদান রয়েছে। উভয় অর্থনীতিই এই শ্রমশক্তির দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।’

ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল বুলুশি গতকাল শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। বাসস।

ওমানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি শ্রমশক্তির অবদান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, এটা সত্য যে, তারা (বাংলাদেশি শ্রমিক) উভয় দেশের অর্থনীতির জন্য কাজ করছে।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেছেন, ওমান দীর্ঘকাল ধরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছে এবং আশা করা হচ্ছে দুই-অঙ্কের স্তরের প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত উভয়েই এলডিসি পরবর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে ওমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সমর্থন করার বিষয়েও আলোচনা করেন। বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আল-বুলুশি বলেন, আসলে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি জনশক্তি তাদের শ্রমবাজারে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘এটি বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য নয়, আমরা শ্রমের চাহিদা পূরণের জন্য পর্যায়ক্রমে শ্রমবাজার পর্যালোচনা করি। সেই পর্যালোচনার ভিত্তিতে, কখনো কখনো আমরা এমন দেশগুলোতে স্থগিতাদেশ দিয়ে থাকি যেখানে অতিরিক্ত সংখ্যক জনশক্তি রয়েছে। স্থগিতাদেশ সহজ করার জন্য পরবর্তী পর্যালোচনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ১০টি ক্যাটাগরির ওমানের ভিসা এখন উন্মুক্ত। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার সরকারের কাছে একটি অনুরোধপত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবেন। তিনি আরও বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছিম, যাতে শিগগিরই ওয়ার্কিং ভিসা দেওয়া শুরু হতে পারে।

সার আমদানির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার ব্যবস্থাটি জি-টু-জি ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছেন। এ সময় অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর