ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের (চট্টগ্রাম) অবসরপ্রাপ্ত এএসপি মো. আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-২ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ। আসামিরা হলেন রাউজান থানার গশ্চি গ্রামের গুরা মিয়া সেক্রেটারি বাড়ির এএসপি মো. আবুল হাশেম (৬১) ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগম (৫১)। এ দম্পতি নগরীর খুলশী থানার পলিটেকনিক্যাল কলেজ রোডের রূপসী হাউজিংয়ে বসবাস করেন। দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২-এর উপপরিচালক আতিকুল আলম বলেন, অবসরপ্রাপ্ত এএসপি মো. আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের শুরুতে দুদকের হটলাইনে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এ পুলিশ দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর আবুল হাশেম ও তাহেরিনাকে সম্পদের বিবরণ দাখিলের জন্য নোটিস দেয় দুদক।

। একই বছরের ২৭ নভেম্বর সম্পদের বিবরণ দাখিল করেন তারা। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর আবুল হাশেম চাকরি থেকে অবসর নেন। আবুল হাশেম দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১৮ লাখ ৬০ হাজার ২৯৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য মামলায় তাহেরিনা বেগম দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন রেখে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৬ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখা এবং তার স্বামী আসামি মো. আবুল হাশেম পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দ্বারা পারস্পরিক যোগসাজশে স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের নামে সম্পদ অর্জন ও স্ত্রী কর্তৃক ভোগদখলে রাখতে সহযোগিতা করার দায়ে দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় হাশেম ও তাহেরিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।