শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বেনজীরের ২৫ একর জমির নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে প্রায় ২৫ একর জায়গার হদিস পাওয়া যায়।

আদালতের নির্দেশে গতকাল সকালে বেনজীরের সম্পত্তি বুঝে নেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হক, বেনজীরের দেওয়া আমমোক্তারনামায় সম্পত্তি দায়িত্ব গ্রহণকারী মং ওয়াই চিং মারমা, দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুদকের আবেদনে ঢাকা মহানগর বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ গত ১২ জুন দেওয়া আদেশে বান্দরবানের জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ করেন। এ আদেশপ্রাপ্তির পর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ কার্যকর করা হয়। প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সরকারের হেফাজতে নেওয়া বেনজীরের গরু ও মৎস্য খামারটি চালু রাখা হবে এবং এই বাবদ অর্জিত আয় সরকারের কোষাগারে জমা করা হবে।

 নোটারি পাবলিকের কাছে নিবন্ধন করা আমমোক্তারনামায় বর্ণিত তথ্য সূত্রে জানা যায়, ওই জমির মালিক বান্দরবান পৌরসভার মধ্যমপাড়ার বাসিন্দা শাহজাহান। তিনি রাবার চাষের জন্য সরকারের কাছ থেকে এই ২৫ একর জমি লিজ পেয়েছিলেন। সুয়ালক মৌজা নম্বর ৩১৪, দাগ নম্বর ৬১৪ এর কথা উল্লেখ থাকলেও আমমোক্তারনামায় হোল্ডিং নম্বর উল্লেখ করা হয়নি। ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর সম্পাদিত এ আমমোক্তারনামায় বলা হয়, চাকরি সূত্রে দেশের বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বাইরে থাকার কারণে বর্তমান প্রস্তাবিত লিজ গ্রহণকারী বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী জীশান মীর্জা ও কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের পক্ষে জমির লিজ বা ক্রয়সংক্রান্ত কার্যক্রম ও তদারকি করা সম্ভব নয়। সেজন্য জমি ক্রয় করা ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য স্থানীয় যুবক মং ওয়াই চিং মারমাকে ক্ষমতা দিয়ে (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) বান্দরবানের নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়। বেনজীর আহমেদ এ জমিতে একটি দ্বিতল ভবন, মাছের প্রকল্প এবং গরুর খামার স্থাপন করেন।

সর্বশেষ খবর