শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি বোঝে না বিএনপি

নীলফামারী প্রতিনিধি

সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি বোঝে না বিএনপি

ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছি বিধায় দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হচ্ছে-বিএনপির এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর শেষে ফিরে আসার পর বিএনপি নানা প্রশ্ন রেখেছিল। কারণ তারা সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মানে বোঝে না। এর আগেও বিএনপি বলেছিল সাবমেরিন যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। পরে আমাদের অর্থের বিনিময়ে সাবমেরিনের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়েছে। গতকাল নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের পার্বতীপুর সড়কের একটি হোটেলের হলরুমে ওই সভার আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শাজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নীলফামারী-২ (সদর) আসনের এমপি আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আমরাও ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে আসছি। আগামীতে ভুটান থেকে ভারতের ওপর দিয়ে জলবিদ্যুৎ আসবে। আর ঢাকা-কলকাতা রুটে ট্রেন চলছে বহু বছর ধরে। নৌপথে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে ভারত। ভুটান ও নেপালও ভারতের ওপর দিয়ে পণ্য দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আর এখন সরকার পতনের কথা বলে না। তারা এখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলে। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হলে বিএনপি নেতারা খুশি হন। তারা এখন তারেকভীতির শঙ্কায় ভুগছেন। বিএনপির মহাসচিবও সেই শঙ্কার মধ্যে আছেন। বিএনপি-জামায়াতসহ সব অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে বসেছিল। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৮১ দেশ ও ৩২ আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের শক্তি হচ্ছে দল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আমাদের রাজনীতি একটি ব্রত। আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না, জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আমাদের রাজনীতি। সভায় আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের জাতীয় কমিটির সদস্য, জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা অংশগ্রহণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর