মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

রায় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আদালত এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত রায় দেননি। জনদুর্ভোগ হয়- এমন আন্দোলন পরিহার করা উচিত। আদালতের রায় হোক, তারপর দেখা যাবে। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে। বিএনপি ও তার সমমনারা কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। প্রকাশ্যে সমর্থন করেছে। এর মানে অংশগ্রহণও করছে। এখানে কারা যুক্ত আছে, ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, সময়ই বলে দেবে। কোনো আন্দোলনে রাজনৈতিক দল সমর্থন জানাতেই পারে, তার সমালোচনা কেন করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো দেশে কোনো রাজনৈতিক দল সম্পৃক্ত হয়- দেখান? এটি তো আদালতের রায়। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে সব কোটা বিলুপ্ত করে সরকার। পরে কোটা পুনর্বহালের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। রায় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন বলে আমরা মনে করি। তিনি আরও বলেন, কোটা বাতিলের যে আন্দোলনটা তারা করছে সেটি সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকারই আপিল করেছে। আদালতের বিষয় নিয়ে কথা বলা, সমালোচনা বা প্রতিবাদ করা আইনসম্মত নয়। সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগও আছে। আনুষ্ঠানিক বসা হয়তো হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে। আমলা সুপিরিয়র না শিক্ষক সুপিরিয়র- সে বিতর্কে আমরা যাব না। পদমর্যাদার ভিত্তিতে যা বাস্তবসম্মত আমরা সেটিই করতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর