বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

আবেদ আলীদের স্বীকারোক্তি

প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারিতে কারাগারে ১৭, পলাতক ১৪, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ তিনজনের, পাঁচজনকে বরখাস্ত পিএসসির, তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবেদ আলীদের স্বীকারোক্তি

প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্তদের গতকাল আদালতে হাজির করা হয় - বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) প্রশ্নফাঁসের মামলায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ছয়জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেওয়া অন্য পাঁচজন হলেন অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।

গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাদেরসহ বাকি ১১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে এজাহারভুক্ত বাকি ১৪ জনকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। স্বীকারোক্তি না দেওয়া আসামিদের বিষয়ে আগামীকাল রিমান্ডের আবেদন করবেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্তসংশ্লিষ্ট এক সূত্র বলছেন, আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া ছয়জন নিজেদের অপরাধ কবুল করলেও প্রশ্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। গতকাল পর্যন্ত কেবল তারা রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা এবং গত বছরের শেষের দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আবেদ আলী পুরো প্রক্রিয়াটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন শুরু থেকেই। তিনি প্রশ্নপত্র ম্যানেজ করে দিতেন। ওপর এবং নিচের ধাপগুলোর সঙ্গে সংযোগকারী হিসেবে কাজ করতেন। নিচ থেকে ক্রমান্বয়ে উপপরিচালকের নাম এলেও তারা পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে এরই মধ্যে তদন্তসংশ্লিষ্টদের কাছে উপপরিচালক (ডিডি) মো. আবু জাফর ও সহকারী পরিচালক (এডি) মো. আলমগীর কবির দুজনই নিজেদের কোচিং ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জানা গেছে, ঢাকার মালিবাগের জ্যোতি কমার্শিয়াল চাকরির কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবু জাফর। কোচিং সেন্টারটি তার স্ত্রী জ্যোতির নামে। এডি আলমগীর কবিরের কোচিং সেন্টার আছে ঢাকার মিরপুরে। পিএসসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আলমগীর কবির আগে আজিমপুরে থাকতেন। কোচিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিরপুরে বাসা নেন। পিএসসিতে থাকার পরও এমন কোচিং সেন্টারে তারা থাকলেও এজন্য সরাসরি তাদের কোনো জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি। পিএসসির প্রশাসন শাখা থেকে জানা গেছে, কয়েক বছর পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন ডিডি আবু জাফর। তিনি কোচিং সেন্টারে যুক্ত আর নানা নেতিবাচক আলোচনায় ছিলেন বলে তিন বছর তার পদোন্নতি আটকে ছিল। গোয়েন্দা প্রতিবেদন নেতিবাচক আসার কারণে পদোন্নতি আটকে ছিল বলে জানায় পিএসসির প্রশাসন শাখা। এ ছাড়া এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘এ দুজনের চাকরির প্রস্তুতির কোচিং ব্যবসা আছে, তা এবারে অভিযোগ আসার পর জানতে পেরেছি। আগে জানতে পারলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেত।’

সিআইডিসূত্র বলছেন, প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের মাস্টারমাইন্ডসহ যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হবে। এ চক্র নানা কায়দায় প্রশ্নফাঁস যেমন করে, তেমন গুজব ছড়িয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করে। সিআইডির একটি সাইবার টিম আগের ও বর্তমান মামলা পর্যালোচনা করে প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রটিকে ধরতে তৎপর রয়েছে। জানা গেছে, গতকাল আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবু সোলায়মান মো. সোহেলকে উপস্থিত করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করা হলেও শেষ পর্যায়ে তিনি জবানবন্দি দেননি। পরে তাকে কারাগার পাঠানো হয়। এদিন কমিশনের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আবেদ আলীসহ ছয়জন দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার পৃথক ছয়টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অন্যদিকে পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবিরসহ ১০ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদন মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত। কারাগারে যাওয়া বাকি আসামিরা হলেন সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুল হাসান ও সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।

ভুয়া ঠিকানা দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন আবেদ আলী : সৈয়দ আবেদ আলী পিএসসিতে চাকরি নিয়েছিলেন ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে। তার বাড়ি মাদারীপুরে। তবে তিনি ঠিকানা দিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জের। ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল নন-ক্যাডার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার’ পদে লিখিত পরীক্ষায় লিখিত উত্তরপত্র সরবরাহ করার অভিযোগে সৈয়দ আবেদ আলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী তার স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হয়। ডাক বিভাগ সৈয়দ আবেদ আলীর স্থায়ী ঠিকানায় চিঠি গ্রহণের জন্য কাউকে না পেয়ে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণীটি পিএসসিতে ফেরত পাঠায়। একইভাবে সাময়িক বরখাস্তের আদেশটিও ফেরত আসে।

অভিযুক্ত কর্মচারীর স্থায়ী ঠিকানাটির সঠিকতা যাচাই করে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক পিএসসিকে জানান, তার স্থায়ী ঠিকানাটি সঠিক নয় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার তালিকায় সৈয়দ আবেদ আলী বা তার পূর্বপুরুষের কেউ তালিকাভুক্ত নন। অর্থাৎ সৈয়দ আবেদ আলী ভুয়া স্থায়ী ঠিকানায় চাকরি নিয়েছেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্য একটি বিভাগীয় মামলা চলছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র এবং অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী অন্তত ৫০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক। ঢাকায় তার একটি ছয় তলা বাড়ি, তিনটি ফ্ল্যাট ও একটি গাড়ি রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে রয়েছে ডুপ্লেক্স ভবন। তবে আবেদ আলীর আরও সম্পদ রয়েছে বলে কর্মকর্তাদের ধারণা। সিআইডির প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদেই তিনি এসব অভিযোগ কবুল করেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গত সোমবার রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডের নিজ ফ্ল্যাট থেকে সৈয়দ আবেদ আলী ও তার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান ওরফে সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল সকালে মিরপুর থানার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডে গিয়ে জানা যায়, বিসমিল্লাহ টাওয়ার নামে একটি নয় তলা ভবনে সপরিবার আবেদ আলী থাকেন। ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী সোহেল খান বলেন, আবেদ আলী পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে থাকেন।

ভবনটির পঞ্চম তলায় যেতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মী সোহেল আগে ইন্টারকমে আবেদ আলীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন। তিনিই আবেদ আলীর বাসায় ইন্টারকমে যোগাযোগ করে বলেন, তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না। তবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ভবনটিতে আবেদ আলীর পাঁচটি ফ্ল্যাট ছিল। কয়েক মাস আগে দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেন। এখন রয়েছে তিনটি। সিআইডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আবেদ আলী পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেন, শেওড়াপাড়ার ভবনটির পঞ্চম তলায় দুটি ও চতুর্থ তলায় একটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। পাইকপাড়ায় তার একটি ছয় তলা বাড়ি রয়েছে। ব্যাংকে নগদ টাকা রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আবেদ আলী সিআইডি কর্মকর্তাদের বলেন, গত বছরের শেষের দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ৩ হাজার ১০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের অনেকের কাছে ফাঁস করা প্রশ্ন বিক্রি করেছেন এবং তাদের চাকরিও হয়েছে।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ : পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার সৈয়দ আবেদ আলীসহ তার পরিবারের সদস্যদের সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে। গতকাল এক চিঠিতে এ আদেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

সেখানে সৈয়দ আবেদ আলী, তার স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী ও ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের সব ব্যাংক হিসাব ‘ফ্রিজ’ করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ গ্রেফতার মো. আবু জাফর ও মালিবাগের কোচিং সেন্টার জ্যোতি কমার্শিয়াল সেন্টারের ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়েছে।

দুপুরের পরই বিএফআইইউর এ চিঠি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। যেখানে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চার ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের ওপর এ স্থিতাবস্থা জারি করে সংস্থাটি।

আদেশের ফলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ ব্যাংকগুলো থেকে কোনো অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর করা যাবে না। এর আগে দিনের শুরুতে আবেদ আলীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে বিএফআইইউ। সেখানে বলা হয়, এ নামে ব্যাংকে কোনো হিসাব পরিচালিত হলে সে-সংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত বিএফআইইউকে জানাতে হবে। আবেদ আলীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ইউএসএ রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্সের সব আর্থিক লেনদেনের তথ্যও চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।

যারা পলাতক : মামলার পলাতক বাকি আসামিরা হলেন পিএসসির সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, মো. শরীফুল ইসলাম, দীপক বণিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, এ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, গোলাম হামিদুর রহমান, মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এ টি এম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ।

মামলায় অজ্ঞাত আসামি ৬০ : চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় সোমবার রাতে পল্টন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। এর আগে পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের মধ্যে পিএসসির উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক ও আবেদের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম রয়েছেন। রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া এ মামলায় আরও ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি : প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে পিএসসির যুগ্ম সচিব ড. আবদুল আলীম খানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা ও মোহাম্মদ আজিজুল হক। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত : প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে আটক হওয়া পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকারি কর্মকমিশন। গত সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরা হলেন- পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর, মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবীর, ডেসপাচ রাইডার মো. খলিলুর রহমান ও অফিসসহায়ক সাজেদুল ইসলাম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর