শিরোনাম
বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে এবং সর্বজনীন পেনশন বাতিলের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে বিএনপি ও সমমনাদের সমর্থনের বিষয়টি নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নেতাদের এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, বিএনপি ও তাদের সমমনারা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দাবিতে উসকানি ও ইন্ধন দিয়ে দেশে যেন বিশৃঙ্খল আবহ তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। বিএনপি নিজেরা আন্দোলনে ব্যর্থ। হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা নির্বাচনে যায়নি। ২০১৮ সালেও তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে ভর করেছিল। এখন আবার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে সরকার হটানোর দুরভিসন্ধি বাস্তবায়ন করতে চায়। তাদের অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন আমরা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা শুনেছি, কোটার বিষয়ে উচ্চ আদালতে যে মামলা চলছে, সেখানে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য শিক্ষার্থীরা তাদের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ করেছে। এটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। কোটা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী একটি পরিপত্র জারি করে সরকারি চাকরিতে কোটামুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী এত দিন সরকারি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সাতজন মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে আদালতে মামলা করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত একটি রায় দিয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছে। আমরা আশা করি শিগগিরই এর শুনানি হবে। আমাদের অবস্থান এখানে পরিষ্কার।

তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা এখন যেহেতু আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে সেহেতু আদালত তাদের কথা শুনবেন, সরকার পক্ষের কথাও শুনবেন। সব পক্ষের কথা শুনে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাস্তবসম্মত একটি সিদ্ধান্ত নেবেন, এটিই আমাদের প্রত্যাশা। ওই পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি। জনদুর্ভোগ যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে আন্দোলনকারীদের সতর্ক মনোযোগ আশা করছি। এ নিয়ে আমরা কেউ কারও উসকানিতে যাব না। সেতু মন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগকে খুব সতর্কভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। কোনো অবস্থায় উসকানি দেওয়া যাবে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়ে গেছেন, যেন কোনো ধরনের উসকানি না দেওয়া হয়। শিক্ষকদের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ আছে। যদিও আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক তাদের সঙ্গে হয়নি। এটি কোনো জটিল সমস্যা নয়। অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে আশা করি। শোকের মাস আগস্ট আবার ফিরে এসেছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ আগস্ট থেকে আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করব। কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি পালনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর