শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রিয়নাথ ২০ লাখে চুক্তি করতেন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাটের গুরু আবেদ আলীর দোসর ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিয়নাথ রায়। চাকরি দেওয়ার শর্তে চুক্তি করতেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। পরীক্ষার আগেই প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়ে চাকরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন প্রিয়নাথ। নিজের এলাকায় তেমন সম্পদ না থাকলেও দিনাজপুর ও ঢাকায় খোঁজ পাওয়া গেছে তার বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পদের। সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুজন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ। তাদের অন্যতম প্রিয়নাথ রায়।

আবেদ আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, প্রিয়নাথ তার কাছে চাকরিপ্রার্থীদের পৌঁছে দিতেন। চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। অগ্রিম নেওয়া হতো ২ থেকে ৫ লাখ টাকা।

কে এই প্রিয়নাথ রায় : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের রাইতু রায় ও রাজবালা দম্পতির সন্তান প্রিয়নাথ রায়। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। জড়িয়েছেন মামলায়ও। মামলার পর থেকে তাকে গ্রামে আসতে দেখেননি পড়শিরা।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব বলেন, ‘তারা সবাই বাইরে থাকেন। এখানে ওর মা ছাড়া কেউ থাকেন না। শুনেছি চাকরি দেওয়ার নামে সে টাকা নিত। পুলিশও এসেছে অনেকবার। কিন্তু সে বাড়িতে আসেনি।’ গ্রামের বাড়িতে একা থাকেন তার মা। দুই সন্তান ও স্ত্রী থাকেন দিনাজপুরের বাড়ি। অপকর্মে ছেলের জড়িয়ে পড়ায় দায়ী করলেন পুত্রবধূকে। তবে দোষী হলেও ছেলের মুক্তি চান তিনি। প্রিয়নাথের মা রাজবালা বলেন, ‘আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। বউয়ের পরামর্শে সে চলে। আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই।’ ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় প্রিয়নাথের নামে রয়েছে একাধিক মামলা।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর