শিরোনাম
শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

কালুরঘাট-চাক্তাই সড়কে মিলবে বহুমাত্রিক সুফল

কমবে জলাবদ্ধতা-যানজট, হবে বিনোদন স্পট ও শহররক্ষা বাঁধ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

কালুরঘাট-চাক্তাই সড়কে মিলবে বহুমাত্রিক সুফল

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে চাক্তাই থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত ১২টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। ফলে গত বর্ষা মৌসুমে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমেনি। অন্যদিকে, কর্ণফুলী নদীর তীরে তৈরিকৃত সড়কে ইতোমধ্যেই ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে চাপ কমবে মূল শহরে। সড়কটি শহর রক্ষাবাঁধ হিসেবেও কাজ করবে। সাড়ে ৮ কিলোমিটারের এক সড়কেই মিলছে বহুমাত্রিক সুফল। ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ৭৫ শতাংশ কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাকলিয়া-চান্দগাঁও-মোহরা এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। অল্প সময়ের মধ্যে কালুরঘাট থেকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করা যাবে। সহজ হবে নগরের উত্তর প্রান্তের সঙ্গে দক্ষিণ প্রান্তের সড়ক যোগাযোগ।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী নদী থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত চাক্তাই, রাজাখালী, বলিরহাট, ইস্পাহানি খালের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাটি ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কে করা হয়েছে কার্পেটিং। বাকলিয়ার বলিরহাট, কল্পলোক এলাকার রাজাখালী খাল ও এর দুটি শাখা খাল, ফয়েজ খাল, নোয়াখালী খালের মুখে রেগুলেটর ও পাম্পহাউস স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ১২টি খালের মুখের স্লুইস গেট। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচলের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। সিডিএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীরের কালুরঘাট-চাক্তাই সড়কটির বহুমাত্রিক সুফল মিলছে। এখনো কাজ শেষ হয়নি। তবুও নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নদী দেখতে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী আসছে। এটি এখন নগরের নতুন বিনোদন কেন্দ্র। একই সঙ্গে সড়কটি শহররক্ষা বাঁধ হিসেবেও সুফল দেবে।

প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব দাশ বলেন, প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদকালের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করার পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে সড়কবাতি লাগানো, যাত্রী ছাউনি ও নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। প্রকল্পের মাধ্যমে নগরের যানজট নিরসন, কর্ণফুলী তীরবর্তী এলাকার জীবনমান উন্নয়ন, পর্যটন, আবাসনসহ বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতায় নির্মাণাধীন সড়ক কাম শহররক্ষা বাঁধের সুফল ইতোমধ্যেই মিলেছে। 

জানা যায়, ২২৭৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। তবে দুই দফা মেয়াদকাল বৃদ্ধি করে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সংশোধিত বরাদ্দে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। প্রকল্পের অধীন নির্মাণ করা হচ্ছে চার কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, বাস-বে, ফুটওভার ব্রিজ, যাত্রী ছাউনি, সড়ক রক্ষায় দুই পাশে রিটেইনিং ওয়াল ও ড্রেন। লাগানো হচ্ছে ১ হাজার ৮৪টি এলইডি সড়কবাতি। পর্যটকদের জন্য করা হচ্ছে নয়নাভিরাম।

সর্বশেষ খবর