পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট উপলক্ষে ড. হাছান মাহমুদসহ ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবং নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন। নরেন্দ্র মোদি তাদের সঙ্গে কুশলাদি ও সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে ফটোসেশনে অংশ নেন। গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। আলোচনা করেন নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুইয়ের সঙ্গে। রিট্রিটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন থান সুই।
ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের পূর্বের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে, তারা বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এটি কার্যে পরিণত হওয়ার চিহ্ন এখনো পরিলক্ষিত হয়নি। ‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজির রাখতে পারে’ উল্লেখ করে বিষয়টির ওপর গভীর গুরুত্বারোপ করেন হাছান মাহমুদ। মিয়ানমার পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করেন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশের আঞ্চলিক জোট ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)’ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ রিট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
