আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কথাবার্তায় একের পর এক খেই হারিয়ে চলেছেন। এবার তিনি গুলিয়ে ফেলে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ‘ট্রাম্প’ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ‘পুতিন’ বলে সম্বোধন করেছেন। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা নিয়ে নতুন সংকটে জড়ালেন তিনি। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি

খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫তম সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বাইডেন। সংবাদ সম্মেলনে কমলা হ্যারিস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি কমলার নামের জায়গায় ট্রাম্প বলে ফেলেন। এর আগে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনেও বাইডেন ভুল করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন’ বলে সম্বোধন করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন ঘন ঘন কাশছিলেন। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় তিনি কথার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন। শেষের দিকে তার কথাগুলো খুব একটা স্পষ্টভাবে বোঝাও যাচ্ছিল না। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে দিয়ে বারবার ভুল করেন তিনি। 

এরপরও বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে তিনিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েল-গাজা সংঘাত এবং রাশিয়া ও চীনকে মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলোর আরও বেশি সামরিক অস্ত্র তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বাইডেন।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে দুই সপ্তাহ আগে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়া বাইডেন এমনিতেই দলের ভিতরে-বাইরে চাপের মুখে আছেন। তিনি ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আদৌ জিততে পারবেন কি না, তা নিয়ে সমর্থক, তহবিল দাতা, এমনকি ডেমোক্র্যাট দলের নেতারাও প্রশ্ন তুলেছেন। ৮১ বছর বয়সি বাইডেনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। তবে বাইডেনের দাবি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা আছে তার। ৭৮ বছর বয়সি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে তার অনন্য যোগ্যতা আছে। বাইডেন বলেন, ‘আপনারা মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জ্ঞানও কিছুটা বাড়ে।’ এদিকে বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস কেমন ফল করবেন, তা খতিয়ে দেখতে একটি জরিপ চালিয়েছে ডেমোক্র্যাট প্রচার দল। গত সপ্তাহে রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াইয়ে বাইডেনের চেয়ে ভালো ফল করার সম্ভাবনা নেই কমলা হ্যারিসের।