শিরোনাম
রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সেই নেতারা ফেল বিসিএস পরীক্ষায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মেধাবীর অধিকাংশই পাস করতে পারেননি বিসিএস পরীক্ষায়। একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েও অনেকে পার হতে পারেননি প্রিলিমিনারির গন্ডি। সে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে সবার নাম, রাজনৈতিক পরিচয়সহ আমলনামা। এতে দেখা গেছে, আন্দোলনকারী মেধাবী নেতাদের যারা বিসিএসে অংশ নিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই এ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন।

বিসিএস পরীক্ষায় ফেল করা ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সেই মেধাবী নেতাদের তালিকায় রয়েছেন তৎকালীন কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ও তৎকালীন ছাত্রলীগ মতাদর্শের নুরুল হক নূর; যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতা আখতার হোসেন; যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র তারেক রহমান; যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসান আল মামুন; যুগ্ম-আহ্বায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফারুখ হাসান; যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মো. রাশেদ খান; যুগ্ম-আহ্বায়ক, ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক ফাহাদ তানভীর নাঈম; যুগ্ম-আহ্বায়ক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও তৎকালীন ছাত্রলীগ মতাদর্শের এ টি এম সোহেল; যুগ্ম-আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ শিক্ষার্থী মো. আরজু; যুগ্ম-আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রদলের আনিসুল ইসলাম; কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক, ঢাবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের মো. রাইসুল ইসলাম নয়ন; কোটা সংস্কার আন্দোলনের সদস্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন পাটোয়ারী; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের মাসুদ মোন্নাফ; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও তৎকালীন রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আরেফিন; রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ মতাদর্শের রেজাউল আলম রাজ; মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ মতাদর্শের আরিফুল ইসলাম; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের মোরশেদুল ইসলাম; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রশিবিরের মো. আনোয়ার হোসেন; কোটা সংস্কার আন্দোলনের সদস্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহাদ ইসলাম; ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের জুয়েল আহম্মেদ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মো. মুশফিকুর রহমান; ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের ওয়াদুদ সাদমান; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মো. রোকনুজ্জামান রবিউল; খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জামান; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির তুহিন; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম হানিফ; কুবি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান; কুবি শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবুল বাশার; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নাসির আহমেদ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী জান্নাতি নাঈম এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফুল ইসলাম।

সর্বশেষ খবর