ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস বলেছেন, বেসিস-আমেরিকা  ডেস্ক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাজারকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই উদ্যোগ দুই দেশের তথ্যপ্রযুক্তি এবং সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারকরণ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা জোরদার করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।  গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারকরণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা জোরদার করতে বেসিস আমেরিকা ডেস্ক চালু উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, অন্যান্যের মধ্যে মার্কিন দূতাবাসের ইকনোমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার, ইক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বেসিস আমেরিকা ডেস্ক আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয়ের একটি মাইলফলক। বদ্ধ বাজার থেকে উন্মুক্ত বাজার বেশি ভালো। পোশাক ও সফটওয়্যার রপ্তানির এআই এর দক্ষ ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ। তবে এ জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তবে পার্শ¦বর্তী দেশের চেয়ে কম মূল্যে তাদের চেয়ে ভালো সেবা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বেসিস আমেরিকা ডেস্ক বাংলাদেশি এবং আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, আইওটি এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলোতে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে উৎসাহিত করবে। বেসিসকে তার সদস্য কোম্পানিদের জন্য মেনটরশিপ নিতে হবে এবং পরিচর্যা করতে হবে যেন তারা তাদের ব্যবসা সঠিকভাবে করতে পারে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সরকার প্রণোদনা দিচ্ছে। সেবা রপ্তানি খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তাই মান দিয়েই টিকে থাকতে হবে।