মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাজাকারের চেতনা ধারণকারীরাও রাজাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজাকারের চেতনা ধারণকারীরাও রাজাকার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজাকারের চেতনা যারা ধারণ করে তারাও রাজাকার। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য আন্দোলনের নেপথ্যে নেতা, মতলববাজ, কুশীলবরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিকৃত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, কোটাসুবিধা মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে! এ কথা তিনি যথার্থই বলেছেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তস্নাত দেশে রাজাকারের আইন হতে পারে না। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই-মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অপমান বাঙালি জাতি সহ্য করবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় পরাজিত অপশক্তির কোনোরকম আস্ফালন আমরা মেনে নেব না। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী বেঁচে থাকতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত পরাজিত অপশক্তির অপতৎপরতা প্রতিরোধ করা হবে। যে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, নিজেদের রাজাকার পরিচয় দিতে গৌরববোধ করে তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে না? যারা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল প্রতিজ্ঞা অবজ্ঞা করে তারা কীভাবে মেধাবী হয়? তারা কীভাবে জাতি কিংবা ছাত্রসমাজের আকাক্সক্ষা ধারণ করে? তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যে কোনো অপশক্তিকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করব। এটাই আমাদের অঙ্গীকার। আন্দোলনের নামে জনজীবনে কোনোরকম দুর্ভোগ মেনে নেব না। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোনো সভা-সমাবেশ আমরা মেনে নিতে পারি না।

ইতোমধ্যে লক্ষ্য করছি, এ আন্দোলনের কুশীলব জামায়াত-বিএনপিসহ অপশক্তির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির আস্ফালনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া আন্দোলনকারীদের ধৃষ্টতা কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই ধৃষ্টতা, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা অডাসিটি অব হায়েস্ট অর্ডার! ছাত্ররা নিজেদের রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়ার বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কতিপয় নেতা নিজেদের আত্মস্বীকৃত রাজাকার ঘোষণা করে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তার জবাব ছাত্রলীগই দেবে। ছাত্রদের বিষয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত সীমিত থাকবে। আমরা দেখি রাজনৈতিকভাবে কারা প্রকাশ্যে আসে। তখন দেখা যাবে। আমরাও মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

সর্বশেষ খবর