বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
সক্রিয় দুই ছাত্র সংগঠন

আমরা সংঘাত চাই না : ছাত্রলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘাতে জড়াতে চায় না বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, আমরা কোনো ধরনের সংঘাতে যেতে চাই না, সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে চাই।

গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সোমবারের হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত এবং তারা অস্ত্র প্রদর্শন করেছে এরকম ছবি ও তাদের নামসহ গণমাধ্যমে এসেছে- এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যদি এ ধরনের কার্যক্রম দেখতে পাই তাহলে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে একপক্ষীয়ভাবে বলার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাতজন নেতা-কর্মী গতকাল গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এগুলো কারা করেছে। আমরা বিশ্বাস করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে পারে না। তাহলে এগুলো কারা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য কী? তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার জন্য। এই লাশ লাশ খেলা কারা খেলতে চায়? এটার গভীরে আমাদের যেতে হবে। আমরা সোমবার দেখেছি সন্ত্রাসীরা অস্ত্র এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ছাত্ররা তাদের রাজপথে নেমে প্রতিরোধ করতে চাইলে তারা ছাত্রদের ওপর অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে গতকাল ছাত্রলীগের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আর কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নেই। কোটা ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনকারী নেই। এখন যারা রয়েছেন, তারা রাজাকারদের প্রেতাত্মা। এরা কোটা সমস্যার সমাধান চায় না। শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে রাজাকারের রাজনীতি পুনর্বাসন করতে চায়। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনান বলেন, রাজাকারদের আস্ফালন শুধু ছাত্রলীগ নয় দেশের কেউই মেনে নেবে না। গতকালকে (সোমবার) আন্দোলনের নামে ঢাবির বিভিন্ন হলে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও হামলা করা হয়েছে। এই নৈরাজ্যকারীদের ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা দলে দলে বের হয়ে প্রতিরোধ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ থেকে বিভিন্ন মানুষজন এসে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের রক্ষা করেছে।

সর্বশেষ খবর