বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
মতিউর পরিবার

আরও ১৩৭ শতাংশ জমি, ১৯ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের ১৩৭ শতাংশ জমি ও ১৯ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। এর মধ্যে রয়েছে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭টি শেয়ার। গতকাল ঢাকার নবম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। গতকাল বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শাহরিয়াজ। তিনি জানান, মতিউর পরিবারের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় আদালতের দেওয়া এ জব্দাদেশে স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে গাজীপুরের টঙ্গীতে মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী ও তার ভাই এম এ কাইয়্যুম হাওলাদারের নামে ১৩৭.২৮ শতাংশ জমি। তার ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে ভাটারায় তিনটি কার পার্কিংসহ ৮ হাজার ৭০ স্কয়ার ফিট স্পেস। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে মতিউর পরিবারের ১৯ কোম্পানির ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭টি শেয়ার অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। দুদকসূত্র জানান, দুদকের পক্ষে ওই আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন। তাঁর আবেদনে বলা হয়- অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মতিউর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে নিজ বা অন্যান্য ব্যক্তির নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং কিংবা ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, অভিযোগসংশ্লিষ্ট মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন; যা করতে পারলে এ অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। এজন্য এ অনুসন্ধান শেষে মামলা রুজু ও তদন্তকাজ শেষ করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর