শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
কোটা নিয়ে বিশেষ চেম্বার আদালতের আদেশ

আপিল বিভাগের শুনানি রবিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক লিভ টু আপিল দায়ের করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, কোটা বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি করতে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা রবিবার (২১ জুলাই) সকালেই আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানির জন্য মেনশন করব। আশা করছি, জনগুরুত্ব বিবেচনায় আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করবেন। শুনানিতে আমরা হাই কোর্টের রায় বাতিল চাইব। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ। লিভ টু আপিলে হাই কোর্টের রায় বাতিল চাওয়া হয়। গত ১৬ জুলাই আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়। গত ১৪ জুলাই প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ কোটাপদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। ওই রায়ে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের দেওয়া রায় ও আদেশ, ২০১৩ সালের লিভ টু আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগে তা বহাল ও সংশোধিত আদেশ এবং ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারির অফিস আদেশের (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনির কোটা) আলোকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হলো। একই সঙ্গে জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি-ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটাসহ, যদি অন্যান্য থাকে, কোটা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব, আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরিপত্র জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ে হাই কোর্ট আরও বলেছেন, প্রয়োজনে উল্লিখিত শ্রেণির ক্ষেত্রে কোটা পরিবর্তন ও হার কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে এ রায় বিবাদীদের জন্য কোনো বাধা তৈরি করবে না। যে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করা সরকারের স্বাধীনতা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর