শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

এক্সপ্রেসওয়েতে আগুন, মেট্রোর দুই স্টেশনে ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় গতকাল অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণহানি না হলেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটিএ ভবন, পিবিআই কার্যালয়, ইনডোর স্টেডিয়াম, সেতু ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রাজধানীর মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনরতরা। এতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেট্রো চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ডিএমটিসিএল। সন্ধ্যায় মিরপুরের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এতে পরিচালকের কার্যালয় ও দুটি গাড়ি পুড়ে যায়। বিআরটিএ মিরপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। নিচে থাকা তার গাড়ি ও সীমানার ভিতরে থাকা একটি বাস বাইরে নিয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ এসে আমাদের কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এদিকে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামেও অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নেভাতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় দফায় বনানী সেতু ভবন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালী টোল প্লাজা, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বনশ্রী কার্যালয়, ধানমন্ডির ওষুধ প্রশাসন ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরনো ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এদিকে রংপুরে মা ও শিশু হাসপাতাল এবং একটি ব্যাংকের বুথ, নরসিংদী জেলা পরিষদ, জেলা কারাগার, পৌরসভা ভবন ও মাধবদী উপজেলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জে পিবিআই কার্যালয় ও জালকুড়ি ডিপোতে রাখা শীতল পরিবহনের ২৪টি বাসে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে নরসিংদী জেলা কারাগারে অগ্নিসংযোগের ফলে কয়েকজন কয়েদি জেল থেকে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশনে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভবনে থাকা গাড়িসহ স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এতে টেলিভিশনটির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার মহাখালীর ডেটা সেন্টারে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও হোয়াটসঅ্যাপসহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ১০ হাজার ওয়েবসাইট। ফলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না গণমাধ্যমের অনলাইন থেকেও। ব্যাহত হচ্ছে ডিজিটাল পরিষেবা, ব্যবস্থা-বাণিজ্য  ও ফ্রিল্যান্সিং। এতে প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি হচ্ছে প্রায় কয়েক বিলিয়ন ডলার।

সর্বশেষ খবর