বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সরকারের ভিতে কম্পন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের ভিতে কম্পন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ভিতে কম্পন শুরু হয়েছে। গণবিরোধী এ সরকারের বিরুদ্ধাচরণকারী জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে কারফিউ জারির মাধ্যমে জনগণকে চরম ভোগান্তির শিকার করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার হতাহতের ঘটনার প্রমাণ লোপাট করা হচ্ছে। গতকাল দলের সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশব্যাপী সংঘটিত এসব সরকারি তৎপরতা এবং পৈশাচিক ও বর্বরোচিত ঘটনা সারা বিশ্ব থেকে আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল এবং স্বৈরাচার এরশাদ আমলেও এমন নির্বিচার হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়নি। অবিলম্বে এ হত্যা ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। বিএনপিসহ গ্রেপ্তার বিরোধী দলের সব নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ সবাইকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রবিবার প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও বিএনপির আদর্শের প্রতি কুঠারাঘাতের শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপি দেশের একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এ দলটি সব সময়ই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং বিএনপি কখনোই জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে গতকাল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নয়াপল্টনস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক রশিদুজ্জামান মিল্লাত, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়কারী এহসানুল হুদা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নাজমুল হক সনি, ঢাকা মহানগরী উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্মমহাসচিব তারেকসহ দেশব্যাপী বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার, কারান্তরিন ও নাজেহালের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের বাকস্বাধীনতার প্রতি আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী চিরদিনই বিদ্বেষপরায়ণ। বর্তমানে বাংলাদেশে চলছে এক ব্যক্তির মধ্যযুগীয় শাসন। অশুভ স্বৈরশাসনে সমাজ-সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ আজ বিপন্ন। হত্যাকারী ও হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তারা সরকারি দলের কোনো পদে অধিষ্ঠিত আছেন। ছাত্র আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী সরকারের এ ধরনের আগ্রাসি ও নির্মম ভূমিকার নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

সর্বশেষ খবর