শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

পুলিশ ১০, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা : ডিবিপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘যুক্তরাজ্য থেকে বগুড়ার যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকি পিটন একটা নির্দেশনা পান। তাকে বলা হয়, পুলিশ মারলে ১০ হাজার এবং ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এই ঘোষণার পর মাঠে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয় নুরে আলম সিদ্দিকির দুলাভাই মো. আবদুল আজিজ ওরফে সুলতানকে’। এই সুলতানকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। ডিবি আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সুলতান ছাত্রদের বেশ কিছু মিছিলের ভিতর টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের ঢুকিয়ে দিয়ে হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালান। তার এ কাজে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডাররাও ছিল। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য গ্রেপ্তার আসামি সুলতান টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের দিয়ে একজন ছাত্রলীগকে মারলে ৫ হাজার টাকা এবং একজন পুলিশ সদস্যকে মারলে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য তিনি জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদেরও নির্দেশনা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার সুলতানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় রাজধানীর উত্তরা ও আবদুল্লাহপুরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ডিবি প্রধান হারুন বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘোষণার মদতদাতা সুলতানকে উত্তরখান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ভেবেছিল, পুলিশের যদি মনোবল ভেঙে দেওয়া যায়, তাহলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির যে ষড়যন্ত্র, তা সফল হবে। সেই মানসিকতা নিয়েই গত বছরের ২৮ অক্টোবরও পুলিশের ওপর হামলা করেছিল। সে সময় একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাস ভবন ভাঙচুর করা হয়। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটি আবারও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন-হামলা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে। এটা কি কোনো সভ্য দেশের মানুষের পক্ষে সম্ভব? তিনি আরও বলেন, নাশকতাকারীরা দেশকে পাকিস্তানি কায়দায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ সদস্যদের যারা হত্যা করেছে তাদের নাম, নম্বর পাওয়া গেছে। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে। ঢাকা শহরে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছিল, তাদের মধ্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইদুল ইসলাম নীরব, এস এম জাহাঙ্গীর, রফিকুল ইসলাম মজনু, আমিরুল ইসলামসহ অসংখ্য বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী আমাদের কাছে আছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের মোবাইলে অনেক মেসেজ পেয়েছি। দেশের বাইরে থেকে তাদের অর্ডার করেছে, এসব মেসেজ আমরা পেয়েছি। এতে বলা হয়েছে, আমরা নতুন কমিটি দিয়েছি, তোমরা যদি এটা না কর, তোমাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর