কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও বর্তমান ঘটনাপ্রবাহে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ককে চিঠি দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষাবিদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা। চিঠিতে অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখক অমিতাভ ঘোষের এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষর করা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন- জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ক্রিগার আইজেনহাওয়ার অধ্যাপক বীণা দাস, লেখক অমিতাভ ঘোষ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস ১৯৩১ চেয়ার অব জিওগ্র্যাফি অ্যাশ আমিন, কলেজ দ্য ফ্রান্সের অধ্যাপক দ্যদিয়ার ফসিন, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড লুডেন, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক শেলডন পোলক ও পার্থ চ্যাটার্জি, লন্ডনের এসওএএস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাওমি হোসেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডায়ানা ইক, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু ব্র্যান্ডেল, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশুতোষ ভর্শনি। চিঠিতে বলা হয়, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও অন্যদের হতাহত হওয়ার ঘটনায় বিশিষ্টজনেরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ঘটনা শুধু বিক্ষোভ প্রদর্শনের মৌলিক অধিকারই খর্ব করেনি, বরং সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীন মানুষের জীবনধারণের অধিকারের নিশ্চয়তাকে উপহাস করেছে। তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে অব্যাহত বাধা সৃষ্টি করার কারণে সহিংসতার শিকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যদের বিষয়ে খুব কম খবরই পাওয়া গেছে। পুলিশের হাতে কয়েক শত বিক্ষোভকারী নিহত ও হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
চিঠিতে বিশিষ্টজনেরা বাছবিচারহীন গ্রেপ্তার, শোকজ ছাড়াই আটক, আটককৃতদের আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ না দেওয়া, আহত করা, নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন ঘটনা থামাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের কাছে স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ প্রয়োগের অনুরোধও জানান তারা।