সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

রিজভী নূরসহ আটজন ফের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিজভী নূরসহ আটজন ফের রিমান্ডে

রাজধানীর কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার  এবং গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ আটজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো পূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন। এ মামলায় রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ সালাম ও বিএনপির সমর্থক মাহমুদুস সালেহীন। এ ছাড়া এই মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খানসহ ছয়জন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আসামিদের মধ্যে ভিপি নূর সেতু ভবনে ভাঙচুর মামলায় এবং রিজভী পল্টন মডেল থানার মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে ছিলেন। এ ছাড়া অপর ছয় আসামি বিটিভি ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ছিলেন। এদিন পুনরায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হলো। এদিন পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে আদালতে থেকে নেমে হাজত খানায় যান নূর। শুনানি শেষে নূরের আইনজীবী এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, নূর আদালতকে জানিয়েছেন, রিমান্ডে নিয়ে তাকে নির্যাতনের নামে গোপনাঙ্গে আঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়া আমরা বলেছি, নূরের শরীরে যেসব জায়গায় আঘাত করা হয়েছে, সেসব জায়গায় পচন ধরেছে। এভাবে বারবার রিমান্ডে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করলে তার জীবনের আশঙ্কা তৈরি হবে। গত ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬-এর উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। মেট্রোরেলে ভাঙচুরের এ মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ৫-৬ হাজার জনকে আসামি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুরে মেট্রোরেল স্টেশনের ১০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুল থানার আওতাধীন অংশে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সাবেক শিবির সভাপতি রাশেদসহ তিনজন রিমান্ডে : এদিকে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা খন্দকার মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ আবদুর রশিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের পুলিশ পরিদর্শক আবুল বাশার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকি-আল ফারাবী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের একটি অফিস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ককটেল ও গোলাবারুদ উদ্ধারের অভিযোগ এনে সিটিটিসির পরিদর্শক এস এম গফফারুল আলম ১০৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুুর রাজ্জাক বলেন, গত ১৮ জুলাই ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। কিন্তু গ্রেপ্তারের ১১ দিন পর আজ আদালতে উপস্থিত করা হলো। এটা বেআইনি।

সর্বশেষ খবর