সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

কারফিউ না দিলে গণভবন দখল হয়ে যেত : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান ১৯ জুলাই রাতে ক্ষমতার জন্য গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন দখলের টার্গেট করেছিল। কারফিউ জারি না করলে শ্রীলঙ্কা স্টাইলে গণভবন দখল হয়ে যেত। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে  ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে নতুন প্ল্যাটফরম করার কথা জানান দিচ্ছে। তাদের আহ্বানে তাদের দোসররা সাড়া দেবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তাদের এ ঐক্য আগুনসন্ত্রাসের ঐক্য। দেশ ও দেশের উন্নয়ন ধ্বংসের ঐক্য। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কারফিউ চলাকালে সেনাবাহিনী কোথাও একটা গুলিও   ছোড়েনি। অথচ অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, আমরা নাকি হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলেছি। শনিবার তালিকায় দেখেছি, আমাদের ১২ জন নেতা-কর্মীকে মেরে ফেলা হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে। একাত্তরের প্রেতাত্মা বিএনপি-জামায়াত এসব বর্বরতা আবারও দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, গাজীপুরের বাস র?্যাপিড ট্রানজিট চালু করার জন্য ৩৪টা এক্সেলেটর এনে রাখা হয়েছিল। পুড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো তো জনগণের সম্পদ। জনগণ এখন উপলব্ধি করছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু না থাকলে তারা কতটা কষ্টে থাকে। এ কষ্টটা আমরা দেইনি, দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। ক্ষমতার জন্য সহিংসতার পথ বেছে নিয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আমাদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিবৃতি যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধে ওয়ান ইলেভেনের কুশীলব ড. ইউনূসও যোগ দিয়েছেন। বিদেশ থেকে অনেক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্গানাইজ যারা করছেন তাদের বলব, কারও প্ররোচনায় বিবৃতি না দিয়ে এখানে এসে মেট্রোরেলের, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের, বিআরটিএর ধ্বংসলীলা দেখুন। বিআরটিসির ৪৪টি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, সেই দৃশ্যপট দেখুন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহিংসতায় নিহত-আহতদের পরিবার, পরিজনের সঙ্গে গণভবনে মিলিত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক সাহায্য করছেন এবং ভবিষ্যতে যেন সচ্ছলভাবে চলতে পারে সে ব্যবস্থা করছেন। এ কাজ তো বিএনপি করে না। ফখরুল পারে শুধু হঠাৎ করে অন্ধকারে ঢিল ছুড়তে। তারা আছে বিবৃতির রাজনীতি নিয়ে, তারা মানুষের কাছে যায় না। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে ডাল ও লবণ এবং ১ লিটার তেল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. এনামুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর