শিরোনাম
শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিশেষ নির্দেশনা সর্বোচ্চ সতর্কতায় র‌্যাব পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনের পর ঢাকাসহ সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে সরকার। সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। বিশেষ নিরাপত্তা চাদরে সক্রিয় রাখা হয়েছে সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জামায়াত-শিবির সম্ভাব্য যেসব স্থান কিংবা ব্যক্তিদের টার্গেট করতে পারে সেখানে বিশেষ প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এরই মধ্যে সবগুলো ইউনিটে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস-নাশকতা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত টিম ডিএমপি। এরই মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সূত্র বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে কারফিউ জারি করেছে সরকার। এ কারণে মাঠে সশস্ত্র অবস্থায় রয়েছে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। তবে জামায়াত-শিবির পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করতে পারে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে সরকারের শীর্ষ মহলে। এরপরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রস্তুতিকে আরও নিখুঁত করার জন্য বলা হয়েছে। সবগুলো সংস্থাকে পাঠানো হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি) আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চলমান পরিস্থিতির কারণে আমরা এমনিতেই সতর্ক। এরপরও বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে সবগুলো ইউনিটে। সম্ভাব্য সব বিষয়কে মাথায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর। এদিকে, র‌্যাবের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় এলিট ফোর্সের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক লে. কর্নেল মুনীফ ফেরদৌসের কাছে। তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব সময়ই প্রস্তুত থাকে র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য। দেশের মানুষের জানমাল রক্ষা এবং সরকারি সম্পদের নিরাপত্তায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ র‌্যাব। তবে বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সবগুলো ব্যাটালিয়নকে আলাদাভাবে সতর্ক করা হয়।

সর্বশেষ খবর