শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, স্বৈরাচারী ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ করতে হবে। গতকাল রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। কর্নেল অলি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ নতুন সরকারের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে এর ওপর অর্পিত নির্বাহী দায়িত্ব পালনে সফলতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, তাদের এবং তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি রাষ্ট্রে সাজাপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত বাংলাদেশি ভাইদের মুক্তি ও পুনর্নিয়োগ বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ২০০৯ সাল থেকে যারা উপযুক্ত প্রমাণাদি ছাড়াই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন- তাদের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা তুলে নিতে হবে এবং যারা গ্রেপ্তার ও বন্দি হয়েছেন তাদের অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাক্তন সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীসহ সরকার কর্তৃক অপহৃত, নিহত ও গুম করা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। ১৯৯৬ সালের পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যে অবৈধ ও অযৌক্তিক সংযোজন করা হয়েছে তা বাতিল করতে হবে এবং এসব মুক্তিযোদ্ধার পৌষ্যদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অভিযুক্ত ও পলাতক ব্যক্তিদের উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের অবৈধ সম্পদ জব্দ করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ প্রত্যর্পণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে। বাংলাদেশের স্থল, জল বা বিমানবন্দর দিয়ে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি যাতে পলায়ন করতে না পারে- বা অপরাধীরাও অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া মাত্র শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।

কর্নেল অলি আহমদ বলেন, ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি স্পষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। কমপক্ষে পরবর্তী চারটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে করতে হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রজাতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানে (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ) শীর্ষ নির্বাহী পদে কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুবারের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

সর্বশেষ খবর