শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পুলিশের প্রতি আস্থা ফেরাতে হবে

ওয়াজেদ হীরা

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে দেশের আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি হয়েছে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো ও আইনশৃঙ্খলা  পরিস্থিতির উন্নতিই একমাত্র চ্যালেঞ্জ এবং পুলিশের প্রতি মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানো হবে অন্যতম কাজ। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন তিনি। গণ অভ্যুত্থানে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। ভয়ে থানা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে অনেক পুলিশ। অনেকেই পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে আছেন। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ভেঙে পড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা। এই সুযোগে ঢাকাসহ সারা দেশে তৈরি হয়েছে গণডাকাতির আতঙ্ক। অনেক এলাকায় ডাকাতির খবরও পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে আইজিপি, পুলিশের ঢাকা মহানগর কমিশনারসহ কয়েকটি পদে পরিবর্তন আনা হয়। নতুন আইজিপিও পুলিশদের কাজে ফেরার নির্দেশনা দেন। এরপর গতকাল ডিএমপি তেজগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যান্য থানায় একটু একটু শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গতকাল মন্ত্রণালয় বণ্টন করে দেন প্রধান উপদেষ্টা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ক্রান্তি সময়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দায়িত্বের প্রথম চ্যালেঞ্জ কী হবে জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিই এখন আমার একমাত্র চ্যালেঞ্জ। অন্যদের চেয়ে আমাকে হয়তো এ মুহূর্তে এখানের জন্য প্রয়োজন মনে করেছেন। প্রথম কাজই হচ্ছে যতটুকু সম্ভব পুুলিশকে টেনে ওঠানো। অন্য বাহিনীর চেয়ে পুলিশ তাহলে গুরুত্ব পাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে এটাই জরুরি। আর অন্য বাহিনী বলতে আমার আওতার মধ্যে বিজিবি ঠিক আছে, আনসার ঠিক আছে, কোস্টগার্ড ঠিক আছে, ফায়ার সার্ভিস ঠিক আছে। র‌্যাব আর পুলিশ বাকি থাকে। এটাই আমার এখন অগ্রাধিকার। আর অগ্রাধিকারের কিছু এ মুহূর্তে নেই। শুক্রবারও সারা দিন মিটিং করলাম। শনিবার (আজ) থেকেই হয়তো অল্পস্বল্প করে শুরু করব। এটা তো এমন নয় সবই রেডি আছে আমি গদিতে বসে শুধু হুকুম করব। বিষয়টা তেমন নয়। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন থানা জ্বালানো-পোড়ানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জানি। আমি দেশের থানাগুলোর বিষয়ে শুনেছি। থানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। থানায় লোকজন নেই। যেসব থানায় আছে তারাও বের হচ্ছে না, দরজা বন্ধ করে রাখছে। নানারকম মানবিক সমস্যা আছে। এরপরও আফটারঅল আপনি পুলিশ ছাড়া চলতে পারছেন না। এই শিক্ষার্থী বাচ্চাদের দিয়ে আপনি কি কাজ করাবেন বলেন, সেনাবাহিনী কতদিকে দৌড়াবে বলেন। আমি আগে স্টক নিয়ে নেই, দু-চারটি থানায় যাই তারপর করণীয় ঠিক করব। শনিবার দু-চারটি থানায় গেলে আরও বোঝা যাবে। এ নিয়ে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

সর্বশেষ খবর