বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আবারও মাথা চাড়া দিতে পারেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এখনো বিপদ কাটেনি। এই বিপদ মোকাবিলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই এবং ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। সেই বিপদ মোকাবিলায় ঐক্য গড়ে তোলার বিকল্প নেই। ঐক্যের মাধ্যমে দেশকে পরিষ্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গতকাল দুপুরে রংপুরের  পীরগঞ্জ জাফরপাড়া কামিল মাদরাসায় বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নতুন সরকার নোবেল জয়ী অর্থনীতিবীদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠনের কাজ করছেন। আমরা তাকে সহযোগিতা করব। যেসব ছাত্ররা অসাধ্যকে সাধন করেছে আমরা তাদেরও সহযোগিতা করব। আমাদের অনেক নেতা কারাগারে রয়েছেন তাদের মুক্তি দিতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বিদেশে রয়েছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আবু সাঈদের বাসায় গিয়েছিলাম। তার বাবা বোবা হয়ে গেছে। মাও কথা বলতে পারে না। একটা মেধাবী ছেলেকে কীভাবে পুলিশ গুলি করে মেরেছে। আবু সাঈদ বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়েছিল, পুলিশ একের পর এক গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে। কী নিষ্ঠুর, কী নির্মম। সারা দেশে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন, আমরা এসব বীরদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ অন্যরা। ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, গতকাল সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পতিত শাসক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোষররা পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, শুনেছি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আমি খবর নিয়ে জেনেছি এটা আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক। তারা ভারতকে দেখাতে চায় বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা নির্যাতিত হচ্ছে। তবে দুয়েকটা ঘটনা হতে পারে। আমাদের দলের লোকজন সব সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।

সৈয়দপুর প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের বাড়ি যাওয়ার পথে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৫ আগস্ট মাঠ বিএনপির দখলে থাকবে। কোনোভাবেই সহিংসতা এবং হিংসাত্মক কোনো কাজ করবে না বিএনপি। আওয়ামী লীগ উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করবে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি একটি উদারপন্থি প্রগতিশীল দল। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শতভাগ নিশ্চিত করতে চাইছি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার হবে।