দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ওই সভায় মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ব্যাংক কমিশন গঠন করে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়, সেগুলো হলো মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, ব্যাংকিং খাত এবং আর্থিক খাতে সংস্কার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চাহিদা ও জোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এজন্য সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রেস উইং বলছে, এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। মূল্যস্ফীতির সুফল পেতে সবাইকে একটু ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ডলার সংকটের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে। প্রেস উইং জানায়, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সীমা ১ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে তারল্য ফিরে আসার পাশাপাশি বিনিময় পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। বৈঠকে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় ব্যাংক খাত সংস্কারের বিষয়টি উঠে আসে। ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কার করার জন্য একটি ব্যাংক কমিশন গঠন করে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সংস্কার বিষয়ে একটি রূপকল্প প্রণয়নের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর। সিদ্ধান্ত হয়েছে, অন্তবর্তী সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে এই রূপকল্প প্রকাশ করা হবে।