মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

জবাবদিহির দুয়ার খুলে দিতে হবে

জাহিদ হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জবাবদিহির দুয়ার খুলে দিতে হবে

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, দ্রুত বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিশেষ আইন এবং সংশ্লিষ্ট দায়মুক্তি আইন বাতিল করে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিযোগিতা ও জবাবদিহির দুয়ার খুলে দিতে হবে। তিনি বলেন, বিগত সরকার ২০০৯ সালে যখন দেশের হাল ধরলেন তখন বিদ্যুৎ খাতের অবস্থা ছিল বেহাল। যদিও তার আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা ও বাড়ানোর কাজ শুরু করেছিল। গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। জাহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপগুলোর আকার বাড়ানোর জন্য দ্রুত কাজ শুরু করে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়ানোর জন্য করা হয় স্পিড পাওয়ার প্রকিউরমেন্ট আইন। এটি ছিল সাময়িক ব্যবস্থা। এর ফলে দ্রুত উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ল ঠিকই, সেই সঙ্গে খুলে গেল দুর্নীতির দুয়ার। দুর্নীতিবাজরা গাইল খুলে গেছে দ্বার, দুর্নীতি করার, বাহিরে থাকিবো কেন রে? জাহিদ হোসেন বলেন, আইনটির সীমিত সময়ের কারণে বারবার নবায়িত হলো। বিদ্যুৎ খাত হয়ে গেল দুর্নীতির স্বর্গ। কোনো রকম দরপত্র ছাড়াই বেসরকারি খাতে নির্মিত হলো শতাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। একই কেন্দ্র সরকারের কাছে কয়েকবার বিক্রির অভিযোগও শোনা গেছে। তিনি বলেন, সঞ্চালন এবং বিতরণ অবকাঠামো উন্নয়ন অবহেলিত হওয়ার কারণে লোডশেডিং, বিশেষ করে পল্লী বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এবং গ্রীষ্মকালে, কম বেশি চলতে থাকল। শুধু সংযোগ দিয়েই শতভাগ বিদ্যুতায়নের দাবি করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাহ বাহ পাওয়া গেল। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ খরচ উঠে যাওয়া এবং স্বল্প মেয়াদি কেন্দ্রের প্রয়োজন ফুরানোর পরও সেগুলোর মেয়াদ বারবার বাড়ানো হলো ওই আইনের বলে। দ্রুত বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিশেষ আইন এবং সংশ্লিষ্ট দায়মুক্তি আইন বাতিল করে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিযোগিতা ও জবাবদিহির দুয়ার খুলে দিন।

 

 

 

সর্বশেষ খবর