বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিপুল অর্থ আত্মসাতে ডাকের সাবেক ডিজিসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও প্রকল্প পরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্র এবং ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠানটির পোস্ট-ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি শীর্ষক প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকা অপব্যবহারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

গতকাল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ডাক বিভাগের একটি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকায় ৫০০টি এইচইপি সার্ভার ও ইউপিএস কিনেন। কিন্তু তা ব্যবহার না করে সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯ এর ২৩ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এতে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে। প্রকল্পের অধীন ৫০০টি এইচপিই এম এল ৩০ ও উইনার ব্র্যান্ডের ইউপিএসসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সরকারি মালিকানাধীন টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) সঙ্গে চুক্তি করা হয়। পরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডাকঘরগুলোতে বিতরণ করা হয়। পরে প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় এবং আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে এ ঘটনা তদন্তের জন্য টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটি কিছু কিছু ডাকঘর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তদন্ত টিম প্রতিবেদনে জানায়, প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ চালানে কোনো কোনো মালামাল প্রকল্প সমাপ্তির প্রায় দুই বছর পর সরবরাহ করা হয়েছে। গাজীপুরের টঙ্গী অফিসে ওইসব যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা জানান, ব্যবহার না জানার কারণে এবং কোনো প্রশিক্ষণ না পাওয়ায় সরবরাহ করা যন্ত্রপাতি তারা ব্যবহার করেন না। এসব যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকে এসব মেশিন কী কাজে ব্যবহার করা হবে তার কোনো নির্দেশনা আঞ্চলিক অফিসকে দেওয়া হয়নি। তাই এসব যন্ত্রপাতি কোনো কাজে আসেনি। প্রকল্পের প্রশিক্ষণ খাতে প্রায় ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এসব যন্ত্র ব্যবহারের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের আওতায় ট্রেনিং বিষয়ে ৭ কোটি টাকার সঠিক ব্যবহার না করে এবং সংশ্লিষ্ট মেশিন ক্রয় করে সরকারি অর্থের অপব্যবহার করেছেন আসামিরা।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর