ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশে সব হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্ব স্ব জেলার নামে এসব প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে হাইটেক পার্কের নির্বাহী কমিটির ৩২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গতকাল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে সারা দেশে হাইটেক পার্ক তৈরি করা হয়েছিল, সে অনুযায়ী প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায়নি। না পাওয়ার ক্ষেত্রে কতটুকু রাজনৈতিক কারণ ছিল, কী পরিমাণ দুর্নীতি ছিল বা সক্ষমতার মধ্যে কোনো ঘাটতি ছিল কি না, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। বিষয়গুলো চিহ্নিত করা গেলে সামনের দিকে কাজ করা সহজ হবে। বাইরের দেশগুলো কীভাবে কাজ করছে এবং আমাদের সক্ষমতার মধ্যে কীভাবে কাজ এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়গুলোও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি খুব বড় প্রত্যাশা না রেখে প্র্যাকটিক্যাল কাজগুলো করা দরকার। তিনি আরও বলেন, হাইটেক পার্কের জমি বরাদ্দ দেওয়া এবং বাতিল করার বিষয় অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা পর্যালোচনা করা দরকার। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধ, আবু সাঈদসহ আরও কয়েকজনের নামে হাইটেক পার্কের ডরমেটরির নামকরণের প্রস্তাব করা হয়। তবে তাতে সম্মতি দেননি নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মতো তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি এমনভাবে ধারণ করা হবে, যাতে করে সেগুলো সারা জীবন থাকে। যশোর জেলায় অবস্থিত শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (পিএমসি) টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন পিএমসি নিয়োগ দেওয়া হবে। এদিকে কার?ওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ারে বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে তাদের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ এবং তাদের রেখেই টাওয়ারটি সংস্কার করা যায় কি না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া হাইটেক পার্কে যারা বিনিয়োগ করবে তাদের ঋণ পাওয়ার সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।