অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ব্যবস্থা, বাজার পরিস্থিতিসহ সার্বিক মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায়’ অংশ নিয়ে বলেছেন, আমরা স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। আমাদের কোনো এজেন্ডা নেই। রাজনৈতিকও না, প্রশাসনিকও না। কারও প্রতি আমাদের কোনো বিরাগ নেই, অনুরাগও নেই। তিনি বলেন, আমি খুব ভালো আরামে ছিলাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে পড়াতাম। ভালো একটা লাইফ ছিল। আমার ওয়াইফ কমপ্লেইন করে আমি ব্যস্ত হয়ে গেছি। আমাদের জন্য কিন্তু খুব ডিফিকাল্ট সিচুয়েশন। এখন দেখি আমাদের অনেক কাজ আছে। আমাদের মোটামুটি ভালো প্রফেশন ছিল। কিন্তু এখানে আমাদের কোনো এজেন্ডা নেই। আমরা এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করব না। তিনি বলেন, কিছু কিছু জিনিস আছে বাইরে থেকে ইমপোর্ট করতে হয়। বাইরে থেকে যারা পাঠায় বেশির ভাগ প্রাইভেট বা ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানি। ওরা টাকা না পেলে বন্ধ করে দেয়। তবে এলসি একেবারে কমে যায়নি। কিছু কিছু ব্যাংকের সমস্যা আছে। আবার বিদেশি ব্যাংকও ইনভলভ আছে। এগুলো আমরা আলাপ করছি। খুব বেশি সমস্যা হবে না। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অ্যাকশন নেবেন। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, বন্যা পুরো বাংলাদেশে হয়নি। কয়েক জায়গায় হয়েছে। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ নিয়ে যেতে পারিনি। আমি জানি ত্রাণ প্রচুর আছে, কিন্তু যেতে পারছে না। এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জোর করে পানি টেনে নামানো যাবে না। আবার আনাও যাবে না।
ডলার সংকট কেটে গেছে বলে মনে করেন কি না- এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসেনসিয়াল জিনিস সার, কীটনাশক, জ্বালানি, খাদ্য এগুলোর কোনো কিছুই আটকাচ্ছে না। যেভাবেই হোক বাংলাদেশ সরকার ম্যানেজ করছে। কোথা থেকে দিচ্ছে সেটা আপনারাও জানেন। কিছু কিছু জায়গা আছে সময় লাগবে, তবে অতি প্রয়োজনীয় কোনো কিছু আটকাবে না।
সারের সংকট হবে না : এদিকে গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোনোভাবেই সারের সরবরাহ কমতে দেওয়া হবে না, স্বাভাবিক রাখা হবে, ফলে সারের সংকট হবে না। এজন্যই অতি দ্রুত সার কেনা সংক্রান্ত তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এটিই প্রথম বৈঠক। উপদেষ্টা আরও বলেন, সার ও মসুর ডাল ক্রয়ে আমরা অনুমোদন দিয়েছি। এটা অতিদ্রুত করতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের মধ্যে মসুর ডাল খুব গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে দেখেছি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অনেক কিছু কেনা হতো। আপনারা কি এটি অব্যাহত রাখবেন? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। সার সংকট হচ্ছে না, এমনটি কি বলা যায়? একজন সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অতিদ্রুত সার কেনার তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। ফলে সারের সংকট হবে না।