বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, এলাকাছাড়া করেছে। ১৬ বছর পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের পতন হয়েছে। এর পরও একটি দলের নেতা-কর্মীরা যদি একই কাজ করেন, তাহলে তাদের থেকে কী শিক্ষা নিলেন? আমরা নির্যাতকের পরিবর্তন চাই না, বরং নির্যাতনের সিস্টেমের পরিবর্তন চাই। গতকাল দুপুরে মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি, হয়রানি, নির্যাতন এবং টোল আদায় বন্ধ নিয়ে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো পরিচালনায় ক্ষমতার অপব্যবহার কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি, হয়রানি, নির্যাতন এসব আমরা সমর্থন করি না। এ কলুষিত সিস্টেমের বিরুদ্ধেই ছিল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। নতুন বাংলাদেশে এসবের পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। তাহলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপনাদের কোনো পার্থক্য থাকে না। তিনি আরও বলেন, আপনাদের চোখের সামনে অনেক জ্বলন্ত উদাহরণ রয়েছে। সেগুলো থেকে শিক্ষা নিন। না হলে জনগণ আপনাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। আমরা এটা দেখতে চাই না যে আবার কাউকে মিথ্যা মামলা বা হয়রানির সেই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
সারজিস আলম আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৫টি সেতুতে ছাত্রদের কথা বলে টোল আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা হলো, এ টোল রাষ্ট্রের আয়ের উৎস। ফলে কেউ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম অপব্যবহার করে এ কাজ করবেন না। প্রতিটি ব্রিজে টোল দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারের ত্রাণের ট্রাককেও টোল দিতে হবে। কেননা দেশকে স্থিতিশীল করতে হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল করা দরকার। কিন্তু এ সংকটময় সময়ে কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, কোনো সেতুতে টোল দেওয়া বন্ধ করে দেন কিংবা স্টিকার দেখিয়ে পার হয়ে যান এটি আমরা কোনো দিনও সমর্থন করি না। এসব সেতুর টোল দিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্র সুন্দরভাবে চলার জন্য রাষ্ট্রের আয়ের উৎসগুলো সুন্দরভাবে পরিচালনা করা অত্যন্ত জরুরি।