বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতের অনিয়মের কাঠামো ভেঙে দিতে চাই। আমরা বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো পুনর্গঠন করতে চাই। এ খাতে ঘটা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে। তিনি আরও বলেন, গ্যাসভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট সহসা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। রূপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হলো কিন্তু মানুষ এটা থেকে কোনো উপকার পাচ্ছে না। এটাই হলো উন্নয়নের ভ্রান্তি।
গতকাল সকালে খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ককে প্রতিনিধি হিসেবে বিদ্যুৎ খাতে নেওয়া হবে। নতুন বাংলাদেশে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। আগে থেকে ঠিক করা হবে না এই প্রজেক্ট কে পাবে অথবা তার মতো করে প্রজেক্ট সাজানো হবে না।বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে ছাত্র সমন্বয়ক, জনপ্রতিনিধি, সুশীলসমাজ ও কর্মকর্তাদের মতবিনিময়ে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি লুটপাটের চিত্র তুলে ধরা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময়ে ছাত্র সমন্বয়করা দাবি করেন খুলনায় বিগত দিনে একের এক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে। এর পেছনে অন্য রাষ্ট্রের ভূমিকা আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। এ ছাড়া ওয়াসা-কেডিএ-কেসিসির সমন্বয়হীনতা, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিকর বিষয়ে নজর দিতে হবে। নাগরিক নেতৃবৃন্দ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও সামান্য বৃষ্টিতে পানিতে ডুবে খুলনা। শহরের সব প্রবেশপথেই রাস্তাঘাটে বেহাল দশা। উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয় না থাকায় একই রাস্তা বা ড্রেন কয়েকবার খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। অন্যদিকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খালিশপুরে রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মিত হলেও গ্যাসের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারছে না। খুলনার এই প্ল্যান্টের কাছাকাছি ভোলাতে গ্যাস আছে যা অপর্যাপ্ত। এখানে প্রয়োজন ১৪০ এমএমসিএফ গ্যাস কিন্তু ভোলাতে অতিরিক্ত আছে ১০০ এমএমসিএফ গ্যাস। তিন বছর সময় নিয়ে নতুন পাইপলাইন করে এ গ্যাস খুলনায় আনলেও সেটা পর্যাপ্ত হবে না। ১১ বছরেও শেষ হয়নি খুলনার শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প। এর মধ্যে ৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প বেড়ে হয়েছে ২৫৯ কোটি টাকা।